ছবি: টুইটার
মস্তিস্কের রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি মালিক। চলছে জটিল অস্ত্রোপচার। এই কঠিন সময়ে মালিককের সঙ্গ ছাড়তে নারাজ পোষ্যটি। সেই কারণেই টানা ছ’দিন সে বসে রইল হাসপাতালে। এ যে প্রায় শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া ‘হাচিকো’-র গল্পের নব্য রূপ।
সেটা ছিল ১৯২৫ সালের কথা। মালিকের মৃত্যুর পর টানা ন’বছর হাচিকো অপেক্ষা করেছিল মালিকের জন্য। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সে স্টেশনে যেত মালিক ফিরবে বলে। হাচিকোর জীবন পরবর্তী কালে উঠে এসেছে সিনেমার পর্দাতেও।
তবে নব্য তুরস্কের এই পোষ্যের নাম বোনসুক। তাঁর মালিকের বয়স ৬৮ বছর। তাঁকে গত ১৪ জানুয়ারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মস্তিস্কের একটি জটিল রোগের অপারেশনের জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পোষ্য কুকুরটিও ভেজা চোখে প্রথম দিন অ্যাম্বুল্যান্স অনুসরণ করে হাসপাতাল পর্যন্ত যায়। এ দিকে হাসপাতালে ভিতর ঢুকে যান মালিক। কিন্তু হাসপাতালের গেটের বাইরেই অপেক্ষা করতে থাকে কুকুরটি। তারপর প্রতিদিন সকাল বেলা সে হাসপাতালের গেটের সামনে উপস্থিত হতে থাকে। হাসপাতালে কর্মীরা সেই পোষ্যকে রোজ খাবারও দিতে থাকে।
মালিকের পরিবারের অন্য সদস্যরা একাধিকবার পোষ্যকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত সে যেতে চায়নি। হাসপাতালের কর্মীরা বলেছেন, ‘‘কুকুরটি কারওর কোনও ক্ষতি করত না। কাউকে বিরক্ত করত না। আমরা মালিক ও প্রভুভক্ত কুকুরের মধ্যে এমন সম্পর্ক আগে দেখিনি।’’
তারপর ছ’দিন বাদে যখন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে হুইলচেয়ারে করে বাইরে আসেন পোষ্যের মালিক, তখন আনন্দে লাফাতে শুরু করে কুকুরটি। ল্যাজ নাড়িয়ে দৌড়ে যায় মালিকের কাছে। মালিক জানিয়েছেন, এতদিন বাদে নিজের পোষ্যকে দেখতে পেয়ে তাঁরও আনন্দ হয়েছে ভীষণ।