উত্তপ্ত মায়ানমার। ছবি রয়টার্স।
সেনা শাসনের অবসান চেয়ে আজও পথে নামলেন মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীরা। আর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আজ ফের মৃত্যু হল চার জনের।
গত মঙ্গলবার মান্দালয়ে বাবার কোলে বসে সাত বছরের বালিকার মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। গত কাল বিভিন্ন শহরে শান্তিপূর্ণ মৌনী মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকেই পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। মধ্য মায়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চার বিক্ষোভকারীর। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজ়নার্সের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে ২৮৬ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। মায়ানমার সেনার মুখপাত্র অবশ্য দু’দিন আগেই সরকারি টিভি চ্যানেলে সেই সংখ্যা অর্ধেক বলে দাবি করেছেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, আজ শুরু থেকেই বিভিন্ন শহরে মারমুখী ছিল পুলিশ। মান্দালয়, মোনিওয়া, ইয়াঙ্গনে অসংখ্য বিক্ষোভকারী গুলিতে আহত হয়েছেন। অনেককেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
তবে সেনার গুলির হাত থেকে বাঁচতে তলে তলে নিজেদের বাহিনীও তৈরি করছেন মায়ানমারের সাধারণ মানুষ। থিনজ়ার মাউং নামে এক আন্দোলনকারী নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘নীরবতার পরেই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঝড়টা আসে।’’ বস্তুত আগ্নেয়াস্ত্র চালানো থেকে শুরু করে শারীরিক কসরত— সেনা শাসনের মোকাবিলায় এ সবের প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। সাসা নামে মায়ানমার পার্লামেন্টের এক গদিচ্যুত সদস্য যেমন খোলাখুলিই জানিয়েছেন, সেনার হাত থেকে বাঁচতে গেলে নিজেদের প্রস্তুত রাখতেই হবে। তাঁর বক্তব্য, আন্দোলনকারীরা দেশের জন্য প্রাণ দিতে পিছপা হবেন না। কিন্তু দেশকে সেনার হাত থেকে বাঁচাতে সব ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখাটা প্রয়োজন।