ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চলতি মাসেই কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই প্রাদেশিক সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, নির্দিষ্ট এই প্রদেশের প্রাথমিক নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারবেন না রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প। কলোরাডোর পর আমেরিকার আরও একটি প্রদেশে ভোটে লড়ার আগে বাধার সম্মুখীন হলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার আমেরিকার উত্তর-পূর্বের প্রদেশ মেইনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই প্রদেশের প্রাথমিক নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াতে পারবেন না তিনি।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আমেরিকার ক্যাপিটলে ট্রাম্পের সমর্থকরা হামলা চালান। সেখানে ট্রাম্পের যে ভূমিকা ছিল, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেইনে প্রদেশের মুখপাত্র শেন লি বেলোস বলেন, ‘‘২০২১ সালের ঘটনায় ট্রাম্পের সম্পূর্ণ প্ররোচনা ছিল। তাঁর নির্দেশেই সবটা হয়েছিল। আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী এই ঘটনা কোনও ভাবেই মানা যায় না।’’
চলতি মাসেই কলোরাডোর সুপ্রিম কোর্টের তরফে ট্রাম্পকে নির্দিষ্ট প্রদেশের প্রার্থী হিসাবে ‘অযোগ্য’ জানানো হলে মিশিগানের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সাফল্য অর্জন করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। আদালত শুনানিতে রাজি হয়নি। ফলে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থেকে যায়। নিম্ন আদালত বলেছিল, বিষয়টি আদালতের বিচার্য নয়।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আমেরিকার ক্যাপিটলে ট্রাম্পের সমর্থকরা হামলা চালান। সেখানে ট্রাম্পের যে ভূমিকা ছিল, তার জেরেই কলোরাডোর আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও কলোরাডোর সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছিল, সামগ্রিক ভাবেও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর যোগ্যতা নেই ট্রাম্পের। আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, যাঁকে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করা হয়।
যদিও আদালতের এই নির্দেশ শুধু আগামী ৫ মার্চ কলোরাডোর প্রাথমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কিন্তু অনেকেই মনে করছেন এর প্রভাব ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও পড়বে। সেই নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে বড় বাধার সামনে পড়তে হবে। আমেরিকার সংবিধানের যে ধারা অনুযায়ী ট্রাম্পকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করেছে আদালত, সেই ধারা এখনও পর্যন্ত খুব কম প্রয়োগ করা হয়েছে।
কলোরাডোর ভোটারদের একাংশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছিল আদালত। ওই ভোটারদের সমর্থন করে ‘সিটিজেন্স ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স ইন ওয়াশিংটন’ নামে একটি সংগঠন। আদালতের কাছে তারা আবেদন জানায়, ক্যাপিটলে হামলার নেপথ্যে ট্রাম্পের প্ররোচনা ছিল। তাদের দাবি ছিল, সেই কারণে ট্রাম্পকে আমেরিকার নির্বাচন থেকে বাদ দিতে হবে।