সম্ভবত বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত কোনও চুক্তি নিয়ে মিঠুর ছেলের সঙ্গে সুবীরের বিবাদ গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লালবাজার ও ডায়মন্ড হারবার থানায় একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারে থাকেন কলকাতায় পরিচারিকা ও আয়ার কাজ করা মিঠু হালদার নামে এক মহিলা। সুবীর যখন কর্মসূত্রে কলকাতার বাইরে থাকতেন, তখন তাঁর মায়ের দেখভাল করতেন মিঠু। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা মনে করছেন, সুবীর এবং রবীন খুনের ঘটনায় মিঠুর যোগ আছে। শুধু তাই নয়, মিঠু-সহ তাঁর ছেলে এবং ছেলের তিন বন্ধুর ভূমিকাকেও আতশকাচের তলায় রাখছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের অনুমান, কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি বিক্রির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন মিঠুর ছেলেও। তিনিও বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা নিয়ে আসতেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, সম্ভবত বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত কোনও চুক্তি নিয়ে মিঠুর ছেলের সঙ্গে সুবীরের বিবাদ হয়। সেই কারণেই খুন কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্য দিকে, লালবাজারে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কাঁকুলিয়া রোড এলাকার বাড়ির দালালরা। বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত কোনও গোলমালে জোড়া খুন কিনা, দালালদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
অনুসন্ধানের সময় দেখা গিয়েছিল বালিগঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে পুলিশ কুকুর। সেই থেকে গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়, খুনের পর সম্ভবত বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পালিয়েছে আততায়ী। সেই সূত্রে শুরু হয় তল্লাশি।
ঘটনাচক্রে মিঠু হালদারও শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা দিয়েই দৈনিক যাতায়াত করেন। এর পরই ওই মহিলাকে ডায়মন্ড হারবার থানায় ডেকে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মিঠুর অপরাধের পুরনো রেকর্ড আছে।
সুবীর চাকীর সঙ্গেই খুন হয়েছিলেন তাঁর গাড়ি চালকও। বুধবার মৃত রবীন মণ্ডলের মোমিনপুরের বাড়িতে যান লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।