দূতাবাসের দায়িত্বে ছিল এই তিন কুকুর ছবি: টুইটার থেকে।
মায়া, ববি ও রুবি। তারা কম্যান্ডো। কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস রক্ষার দায়িত্বে ছিল তারা। দূতাবাসে যাতে তালিবান কোনও রকমের নাশকতা ঘটাতে না পারে সে দিকে নজর রাখার দায়িত্ব ছিল ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের এই তিন পুলিশ কুকুরের উপরেই। তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পরে আফগানদের মতোই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। কাবুল থেকে তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে নয়াদিল্লি। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তালিবান। ভারতীয় দূতাবাস ঘিরে রেখেছিল তারা। সেই সময় দূতাবাসের রক্ষা কর্তা হয়ে দাঁড়ায় এই তিন সারমেয়।
ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে কাবুলে রয়েছে কুকুর তিনটি। তাদের ঘ্রাণশক্তি এতই তীব্র যে গাড়ির ভিতরে কোনও বিস্ফোরক থাকলে বেশ কিছুটা দূর থেকে সেটা বুঝতে পারে তারা। কাবুল তালিবানের দখলে যাওয়ার পরে তাই তাদের কাজে লাগান নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময় বাইরে থেকে যে কোনও গাড়ি দূতাবাসে ঢোকার আগেই নিজেদের কাজ করত তিন সারমেয়। খাবার ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী ছাড়া অন্য কিছু গাড়িতে থাকলেই নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করে দিত তারা।
হরিয়ানার পঞ্চকুলায় প্রশিক্ষিত এই তিন পুলিশ কুকুর কাবুলে থাকাকালীন বেশ কয়েকটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করে বলে জানিয়েছে দূতাবাস। তার ফলে শুধুমাত্র সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়রা নন, দূতাবাসের অনেক আফগান কর্মীও রক্ষা পেয়েছেন।
নিজেদের দায়িত্ব সামলে বায়ুসেনার বিমানে গুজরাতের জামনগরে ফিরেছে মায়া, ববি ও রুবি। সেখান থেকে দিল্লিতে ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের ছাওলা শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের। সেখানেই আপাতত তারা রয়েছে। তাদের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি দিন পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের তরতাজা রাখছে তারা। দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল ইশ্বর সিংহ দুহান।