— ছবি সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াশোনা করার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু ছেলেমেয়েরা কোনও পরিস্থিতিতেই এক সঙ্গে লেখাপড়া করতে পারবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের তালিবানি শাসনে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হক্কানি। রবিবার রাজধানী শহর কাবুলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন অধ্যাপক এবং পড়ুয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
হক্কানি এ দিন বলেন, ‘‘আফগানরা উচ্চ শিক্ষা অবশ্যই চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে শরিয়তি আইন মেনেই। ছেলে ও মেয়েরা এক সঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবেন না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ইসলাম এবং রাষ্ট্রের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি মেনে নতুন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।’’
চলতি মাসের মাঝামাঝি কাবুল দখলের পরই হেরাট প্রদেশে প্রথম ফতোয়া জারি করে স্থানীয় তালিবানি প্রশাসন জানিয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়েরা এক সঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবেন না। হেরাত প্রদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকদের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর তালিবান নেতা মোল্লা ফরিদ বলেছিলেন, ‘‘সমাজে পচন ধরার মূলেই রয়েছে ছেলেমেয়েদের এক সঙ্গে শিক্ষা। বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা বন্ধ করতে হবে। মহিলা অধ্যাপকেরা শুধু মাত্র মেয়েদেরই পড়াতে পারবেন।’’
২০০১ সালে তালিবানি শাসনের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর গত দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে ছেলে-মেয়েদের এক সঙ্গে পড়াশোনা বা ‘কোএডুকেশন’ শিক্ষানীতি চালু ছিল সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আফগানিস্তানে তালিবান-রাজ ফিরতেই চালু হচ্ছে পুরনো নিয়ম-নীতি। তালিবান নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের জেরে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির বিশেষ সমস্যা না-হলেও বেকায়দায় পড়বে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, এমনটাই মত সে দেশের শিক্ষাবিদদের।