জেসমিন।
এককালের জনপ্রিয় পর্ন তারকা হঠাৎই অভিনয় ছেড়ে পেশাদার কুস্তিগীর হয়ে গিয়েছিলেন। প্রায় ২৫ বছর পরে সেই সিদ্ধান্তের কারণ জানালেন অভিনেত্রী। পর্ন তারকা হিসেবে তাঁর জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন একটি সাক্ষাৎকারে।
নব্বইয়ের দশকের ওই পর্ন তারকার নাম জেসমিন সেন্ট ক্লেয়ার। একটি সাক্ষাৎকারে জেসমিন সম্প্রতি জানিয়েছেন, পর্ন তারকা হিসেবে অত্যন্ত খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। একটি ছবির শ্যুটিংয়ে টানা ১০ ঘণ্টা ৩০০ জন পুরুষের সঙ্গে নিরন্তর সহবাস করতে হয়েছিল তাঁকে। সেই শ্যুটিং জেসমিনকে পর্ন দুনিয়ায় রাতারাতি বিখ্যাত করে দিলেও তিনি আর পর্ন ছবির জগতে থাকেননি। এক বছরের মধ্যে পেশা বদলান। কুস্তিগীর হিসেবে নামেন রিংয়ে।
সাক্ষাৎকারে জেসমিনের কাছে ওই সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন করা হয়েছিল জনপ্রিয় হওয়ার পরও কেন সরে এলেন পর্ন ছবির জগৎ থেকে? জেসমিন বলেছেন, ‘‘মানুষ অনেক সময়েই এমন অনেক কারণে জনপ্রিয় হন, যে কারণে পরিচিতি পাওয়াটা কাম্য নয়।’’ তাঁর ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ৩০০ জন পুরুষের সঙ্গে সহবাস করার প্রস্তাবে তাঁর আপত্তি ছিল না। কিন্তু গোটা বিষয়টিকে ১০ ঘণ্টা ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া বিরক্তিকর লেগেছিল। একটা সময়ে নিজেকে একটা সার্কাসের অংশ মনে হচ্ছিল। যে খানে ‘শেষ করা’টাই তাঁর একমাত্র কাজ।
জেসমিন আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পর্ন ছবিতে অভিনয়ের কাজ আর তাঁর ভাল লাগছিল না। সেই অপছন্দের জায়গা থেকেই পেশা বদলের কথা ভাবেন। ছোট থেকেই জেসমিনের কুস্তির প্রতি আগ্রহ ছিল। প্রায় এক বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে কুস্তির রিংয়ে নামেন। সেখানে সফলও হন তিনি।