arrest

বিনা দোষে ৪৩ বছর জেলে, মুক্তির নির্দেশ

১৯৮০ সালে মিসৌরির সেন্ট জোসেফে খুন হন একটি গ্রন্থাগারের কর্মী, ৩১ বছর বয়সি প্যাট্রিশিয়া জেশকে। পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সান্ড্রা হেম নামে এক তরুণীকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জেফারসন সিটি (মিসৌরি) শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪ ০৭:৫৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

৪৩ বছর জেল খাটার পরে নির্দোষ ঘোষণা করা হল মিসৌরির এক মহিলাকে। মুক্তি পেলে তিনিই হবেন বিনা দোষে সব থেকে বেশি দিন জেলে কাটানো কোনও মহিলা।

Advertisement

১৯৮০ সালে মিসৌরির সেন্ট জোসেফে খুন হন একটি গ্রন্থাগারের কর্মী, ৩১ বছর বয়সি প্যাট্রিশিয়া জেশকে। পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সান্ড্রা হেম নামে এক তরুণীকে। তখন সান্ড্রার বয়স মাত্র ২০। সান্ড্রার বিরুদ্ধে প্রধান প্রমাণ ছিল তাঁর নিজেরই ‘স্বীকারোক্তি’। জানা যায়, তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন। ১২ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন মানসিক ও স্নায়বিক রোগের জন্য চিকিৎসাও চলছে বলে পুলিশ জানায়। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন সান্ড্রা। আদালত তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

তার বহু বছর পরে অন্য একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় মাইকেল হলম্যান নামে সেন্ট জোসেফের এক পুলিশকর্মী। সেই মামলায় জেল হয় তার। প্যাট্রিশিয়ার খুনের সময়ে হলম্যানের বয়স ছিল ২২ বছর। তার কাছ থেকে প্যাট্রিশিয়ার কানের দুল মেলে। সেই বিষয়ে বহু বার হলম্যানকে জেরা করা হলেও সরকারি কৌঁসুলি তার বিরুদ্ধে কখনওই ঠিকঠাক মামলা খাড়া করতে পারেননি। ২০১৫ সালে জেলেই মারা যায় হলম্যান।

Advertisement

এ বছর জানুয়ারি মাসে সান্ড্রা হেমের আইনজীবীরা আদালতে ১৪৭ পাতার নথি জমা দিয়ে দাবি করেন, তাঁদের মক্কেল নির্দোষ। সেই নথি পর্যালোচনা করে এবং তিন দিনের শুনানির পরে বিচারক রায়ান হর্সম্যান শুক্রবার রায় দেন, সান্ড্রা নির্দোষ। ৩০ দিনের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে তাঁকে। বিচারকের কথায়, ‘‘সে সময়ে তদন্ত যে একপেশে হয়েছিল, তা প্রমাণিত। হলম্যানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকলেও তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। সান্ড্রার অসঙ্গতিপূর্ণ কথা শুনে পুলিশ ধরে নেয়, তিনিই দোষী।’’সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement