gun

US Gun firm: ছোটদের খেলার জন্য খোলা বাজারে এল আসল রাইফেল! আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সংস্থার কাণ্ডে শোরগোল

‘দেখায়, ছোঁয়ায় এবং কাজে ঠিক মা-বাবার বন্দুকের মতো।’ সংস্থার প্রচারে বলা হচ্ছে, নিরাপদে শিশুদের শ্যুটিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবেন বড়রা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:২৪
Share:

অস্ত্র তৈরির সংস্থার বিজ্ঞাপনের কড়া নিন্দা করেছে বিভিন্ন মহল। প্রতীকী চিত্র।

ছোটরা খেলবে বড়দের ‘খেলনা’ নিয়ে। বাচ্চাদের জন্য সেমি-অটোম্যাটিক আগ্নেয়াস্ত্র বাজারে এনে হুলুস্থুল ফেলে দিল আমেরিকার এক অস্ত্র নির্মাণ সংস্থা। যে রাইফেল দিয়ে দেশে একাধিক হত্যকাণ্ড ঘটেছে, সেই এ-আর-১৫ মডেলের আগ্নেয়াস্ত্রের আদলে এই রাইফেল আনা হয়েছে ছোটদের শুটিং শেখানোর জন্য! ডব্লুইই নামে ওই অস্ত্র তৈরির সংস্থার প্রচারে বলা হচ্ছে, নিরাপদে শিশুদের শ্যুটিং খেলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবেন বড়রা। বিজ্ঞাপনের ট্যাগ লাইন, ‘দেখায়, ছোঁয়ায় এবং কাজে ঠিক মা-বাবার বন্দুকের মতো।’ এই বিজ্ঞাপনী প্রচার প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল।

Advertisement

ছোটদের জন্য তৈরি রাইফেলটির মডেল-নাম ‘জেআর-১৫’। ৩১ ইঞ্চি লম্বা এই রাইফেলের ওজন প্রায় এক কিলোগ্রাম। ছোটদের ‘খেলনা’ বন্দুকে রাখা যাবে পাঁচ থেকে ১০ রাউন্ড ক্যালিবার বুলেট। দাম রাখা হয়েছে মোটামুটি ২৯ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, আমেরিকার সংবিধানে অস্ত্রের মালিকানার অধিকার স্বীকৃত। আর এই আইনের সুবিধা নিয়ে ঘটেছে বহু খুনের ঘটনা।

যে রাইফেলের আদলে এই আগ্নেয়াস্ত্রটি তৈরি, সেই এআর-১৫ মডেল দিয়ে একাধিক হত্যকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে আমেরিকায়। ২০১২ সালে নিউটাউনের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে এআর-১৫ রাইফেল দিয়ে ২০ শিশু-সহ ২৬ জনকে হত্যা করে এক আততায়ী। ২০১৭ সালে লাস ভেগাসে ৫৮ জন নিহত হন এই আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে। ২০১৮ সালের পার্কল্যান্ড হাই স্কুলে গুলি চালনার ঘটনায় মারা যান ১৭ জন। সেখানেও ব্যবহৃত হয়েছিল এই আগ্নেয়াস্ত্রই।

Advertisement

এ দিকে আমেরিকার ২০১৬ সালের একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, দেশের যুব সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করতে নানা রকম ভাবে চেষ্টা করে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সংস্থাগুলি। কোনও বিজ্ঞাপনী প্রচারে বলা হয়, হালকা এবং সহজে বহনযোগ্য বন্দুক আনা হয়েছে। কোনও সংস্থা আবার গোলাপি, লাল, কমলা ইত্যাদি হরেক রঙের বন্দুক বাজারে এনে যুবক-যুবতীদের আকৃষ্ট করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement