Eden Gardens

শুধু দায় ঠেলাঠেলিই সার! ইডেনে পার্কিং নিয়ে জটিলতা চলছে এখনও

সেনার তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তাদের কাছে আইপিএল-এর কোনও দল বা ইডেন গার্ডেন্স কর্তৃপক্ষ সিএবি-র তরফে ময়দানে পার্কিং করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৯
Share:
পার্কিং জটিলতা কাটল না মঙ্গলবারও।

পার্কিং জটিলতা কাটল না মঙ্গলবারও। — প্রতীকী চিত্র।

ইডেন গার্ডেন্সে খেলা দেখতে গিয়ে গাড়ি কোথায় রাখা যাবে, তা নিয়ে জটিলতা কাটল না মঙ্গলবারও। সেনার তরফে এ দিনও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তাদের কাছে ‘ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ’ (আইপিএল)-এর কোনও দল বা ইডেন গার্ডেন্স কর্তৃপক্ষ সিএবি-র (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল) তরফে ময়দানে পার্কিং করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়নি। বিষয়টি তারা পুলিশকে লিখিত ভাবে সোমবারই জানিয়েছে। কিন্তু পুলিশ সূত্রের দাবি, খেলার উদ্যোক্তাদের তরফে এই আবেদন করার কথা। ফলে, তাদের এ বিষয়ে কোনও ভূমিকা নেই। সিএবি-র আবার দাবি, সেনা যে পার্কিংয়ের জায়গা দিতে চায় না, তা তাদের জানা নেই। সিএবি সচিব নরেশ ওঝা এ দিন বলেছেন, ‘‘সেনার তরফে এ বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।’’

Advertisement

গত ২২ মার্চ আইপিএলের উদ্বোধনে প্রায় তিন হাজার গাড়ি ইডেনের আশপাশে ময়দানে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বঙ্গবাসী কলেজের মাঠে বেগুনি রঙের স্টিকার লাগানো প্রায় ৪৫০-৫০০টি গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ইডেনের উল্টো দিকে সবুজ স্টিকার লাগানো প্রায় ৩০০টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা ছিল। লাল স্টিকার লাগানো প্রায় ২৫০টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল বাবুঘাট বাস স্ট্যান্ড চত্বরে। বিজয় স্মারকের আশপাশে, রেঞ্জার্স ক্লাব চত্বর, শহিদ মিনার ময়দান এবং হাই কোর্ট মাঠে করা হয়েছিল আরও অন্তত ১৭০০টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা। এর পরেই সোমবার সেনা বিবৃতি দিয়ে জানায়, এত সংখ্যক গাড়ি রাখার জন্য আগাম অনুমতি সেনার থেকে নেওয়া হয়নি। এই চত্বরে সেনার প্রশিক্ষণ চলে। সেই কাজে অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। ফলে আগামী কোনও ম্যাচেই গাড়ি রাখার জায়গা দেওয়ার ব্যাপারে তারা রাজি নয় বলে জানিয়েছে। বঙ্গবাসী কলেজ মাঠে পার্কিংয়ের জন্য করা ব্যারিকেডও দ্রুত সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সেনা আধিকারিক বলেন, ‘‘এমন যে কোনও ব্যাপারে সেনার কাছ থেকে আগাম অনুমতি নেওয়া হয়। সাধারণ নাগরিকদের সমস্যার কথা ভেবে সেনা অনুমতিও দেয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুলিশকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

ইডেন গার্ডেন্স ও ময়দান চত্বর ময়দান থানার অন্তর্গত। কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের দায়িত্ব সামলানো এক পুলিশ আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘‘পুলিশের কাজ নিরাপত্তা এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা। খেলা দেখতে আসা দর্শকদের গাড়ি কোথায় রাখা হবে, তা দেখার দায়িত্ব উদ্যোক্তাদের। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারাই বিষয়টি দেখবেন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নেবেন। পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই।’’ ওই পুলিশকর্তা জানান, সেনা কেন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে, তা তাঁদের জানা নেই। পুলিশের তরফে সেনার সেই বার্তা সিএবি-র কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওই পুলিশ আধিকারিকের। প্রসঙ্গত, আগামী ৩ এপ্রিল আইপিএলের পরবর্তী খেলা রয়েছে ইডেনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement