ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে ফিরছিল রাশিয়ার বিমান। ইউক্রেনের সীমানা পেরোনোর আগেই সেই বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে ভেঙে পড়ল।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চালক ছাড়া ওই বিমানে ছিলেন পাঁচ জন ক্রু সদস্য। রাশিয়া সেনার তিন প্রতিনিধি এবং রাশিয়ার হাতে বন্দি ইউক্রেনের ৬৫ জন সেনাকর্মী। বুধবার তাঁদের নিয়েই রাশিয়ার ইলিউশিন ২-৭৬ নামের সেনা পরিবহণ বিমানটি ভেঙে পড়ে ইউক্রেন সীমান্তে। এই ঘটনায় বিমানের প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিমান দুর্ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার ওই সেনা পরিবহণ বিমানটি সজোরে ভেঙে পড়ছে মাটিতে। তার পরেই একটি বিস্ফোরণ ঘটছে। আকাশে উড়ছে আগুনের এক বিশাল গোলা। দুর্ঘটনার তীব্রতা দেখেই ইউক্রেন প্রশাসনের ধারণা এই ঘটনায় কারও বেঁচে ফেরার কথা নয়। তবে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে তারা।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাশিয়া এই বন্দিদের নিয়ে দেশে ফিরছিল। তারা ভেবেছিল এই বন্দিদের বিনিময়ে ইউক্রেনের হাতে বন্দি রাশিয়ার সেনাদের প্রত্যর্পণ করতে বলবে তাঁরা। চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবন্দি বিনিময় করবে দুই দেশ। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বিমানটি। তবে বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইউক্রেনেরই কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরোড এলাকায়। ওই এলাকায় গত কয়েক মাসে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর সবক’টি ঘটনাই ঘটেছে ইউক্রেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য। ডিসেম্বরেই ২৫ জনের মৃত্যু হয় ওই হামলায়।