তরুণীকে খুঁজতে গোটা এলাকা তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
নিজের অপহরণের ভুয়ো গল্প ফেঁদে শেষে পুলিশের জালেই জড়ালেন বছর পঁচিশের তরুণী। সাজা হিসেবে মিলল ছ’মাসের জেল এবং পাঁচ হাজার ইউরো (ভারতীয় টাকায় ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৬৩ টাকা) জরিমানা। কেন এমন করলেন তরুণী? তাঁর বয়ান শুনে রীতিমতো হতবাক পুলিশ প্রশাসন।
ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রান্সের মেন্ডে শহরে। স্যান্ডি গিলার্ড নামে ওই তরুণী বিবাহ বিচ্ছেদের পর ওই শহরেরই এক তরুণের প্রেমে পড়েন। তাঁরা একই সঙ্গে থাকতেন। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই সঙ্গীর সঙ্গে নানা সমস্যা চলছিল স্যান্ডির। তাঁর বয়ফ্রেন্ডের কথায়, তৃতীয় কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্যান্ডি। হঠাৎই একদিন, তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে মেসেজ করে জানান, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। একটি কালো গাড়িতে তুলে আততায়ীরা তাঁকে কোনও একটি অ়জ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি পুলিশকে জানান ওই তরুণ।
আরও পড়ুন:
ভোলবদল! চিনকে দুষতে নারাজ ট্রাম্প
ইজরায়েলে 'গোপন' বৈঠক! ইস্তফা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মন্ত্রীর
এর পরের ঘটনা আরও চমকপ্রদ। তরুণীকে খুঁজে পেতে নাকাল হয় পুলিশ। শেষে ৫০ জনের একটি সেনা দল মোতায়েন করা হয়। হেলিকপ্টারে চেপে গোটা এলাকা তল্লাশি চালায় সেনা। খোঁজ চালানো হয় আশপাশের শহরগুলিতেও। শেষে রহস্যের সমাধান করেন স্যান্ডি নিজেই। প্রকাশ্যে এসে তিনি জানান, অপহরণকারীরা তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁর কথায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় পুলিশের। স্যান্ডিকে গ্রেফতার করে করে পুলিশ। জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকার করেন তরণী। তিনি জানান, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঝামেলার কারণে তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল। ফের একসঙ্গে থাকবেন বলেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্যান্ডিকে ফরাসী আদালতে তোলা হয়। এই ভুয়ো নাটক এবং পুলিশ প্রশাসনকে নাকাল করার অপরাধে তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত।