ছবি: রয়টার্স।
শনিবার রাতে কাবুলের এক জনবহুল বাজার এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে কম পক্ষে আট জন নিহত হয়েছেন, জখম ২২। হামলার দায় নিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠী।
শহরের পশ্চিমপ্রান্তে যেখানে এই হামলা হয়েছে, সেখানে মূলত শিয়াদের বসবাস। গত বছর অগস্টে তালিবান (যারা মূলত সুন্নি) আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে আশ্বাস দিয়েছিল, দেশের শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তার দিকে তারা কড়া নজর রাখবে। কিন্তু গত এক বছরে বারবার হামলা হয়েছে শিয়াদের উপরে। এবং বেশির ভাগ হামলাই চালিয়েছে সুন্নি আইএস। গত কালও এই এলাকার এক মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে আট জন নিহত ও ১৮ জন জখম হয়েছিলেন।
সামনেই মহরম। এই সময়ে পরপর দু’দিন শিয়া-অধ্যুষিত এলাকায় এ ভাবে প্রাণঘাতী হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পরে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য তালিবান প্রশাসনের দক্ষতা ও সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কাবুলের শিয়া ধর্মগুরু সৈয়দ কাজ়ুম হোজাটের কথায়, ‘‘মহরমের আগে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেটাও যথেষ্ট নয়।’’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, বিস্ফোরণের পরে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় পড়ে আর্তনাদ করছিলেন। অনেক দেহাংশও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। এই হামলা কোনও আত্মঘাতী জঙ্গির কীর্তি কি না, তা এখনও জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা অফিসারেরা গিয়েছিলেন। সংখ্যালঘুদের উপরে এ ধরনের হামলা কী করে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জখমদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।