Sheikh Mujibur Rahman

৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে হেনস্থার শিকার হলেন মুক্তিযোদ্ধা

১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে সপরিবার খুন হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান। তাঁর দুই মেয়ে, হাসিনা ও রেহানা তখন ছিলেন ইউরোপে। প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৪ ০৮:০১
Share:

শেখ মুজিবুর রহমান। —ফাইল চিত্র।

কোথাও উপড়ে ফেলা প্রতিকৃতির নীচে তিনটে জবা ফুল। কোথাও ভেঙে ফেলা ম্যুরালের নীচে দু’খানি বাগানবিলাস রেখে গিয়েছে কে বা কারা। হয়তো ভোরের আলো ভাল করে ফোটার আগেই, লোকচক্ষু আড়াল করে। স্থানীয় কেউ এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারলেন না। অথবা, বলতে চাইলেন না। বাংলাদেশে এ বছর বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান হত্যার দিনটিতে শোক চাপা পড়ল ক্ষোভে। এই প্রসঙ্গে রাজশাহীর এক তরুণের বক্তব্য, “শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে সবার করতে পারেননি।” মুজিবর রহমানের মৃত্যুর দিনে, আজ তাঁর ধানমন্ডির বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সিদ্দিকীকেও।

Advertisement

১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে সপরিবার খুন হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান। তাঁর দুই মেয়ে, হাসিনা ও রেহানা তখন ছিলেন ইউরোপে। প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে অগস্ট জাতীয় শোকের মাস এবং এই মাসের ১৫ তারিখ জাতীয় শোকের দিন হিসাবে পালিত হয়ে এসেছে। এ বছর অগস্ট অবশ্য অন্য খাতে বইছে। হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন গণআন্দোলনের মুখে। তার পরে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরেও আছড়ে পড়ে ক্ষোভের ঢেউ। চলে ভাঙচুর। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ঢাকায় ভাঙা হয় মুজিবের মূর্তি। এ বার ১৫ অগস্ট ছুটি থাকবে না, দু’দিন আগেই এ কথা জানিয়ে দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

ধানমন্ডির মুজিব স্মৃতি জাদুঘরের রাস্তায় আজ শক্ত-প্লাস্টিকের সবুজ লাঠি হাতে ছোট-বড় জটলা ছিল। রাস্তায় ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। ফেলে রাখা হয়েছিল কাঁটাতার। অভিযোগ, সংবাদকর্মীদেরও হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি ওই বাড়িতে। কয়েক জনকে ধাওয়া করে মারধরও করা হয়। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে এক ছাত্রদলের কর্মীর দাবি, বুধবার রাতে তাঁরা ৩২ নম্বর ধানমন্ডির ওই বাড়িতে ছিলেন। ভোরের দিকে চলে আসার পরে জায়গাটি জামায়াতের হাতে চলে যায়।

Advertisement

আজ সকালে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে যান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। হেনস্থার মুখে পড়ে ফিরে আসতে হয় তাঁকেও। তাঁর কথায়, “দু’-এক জন সালাম দিয়ে বলেছে ফিরে যেতে। গাড়ির ভিতরে ছিলাম। কয়েক জন ঢিল ছুড়েছে। লাঠি দিয়ে গাড়ি ভাঙে। তার পরে চলে এসেছি।” তাঁর বার্তা, মুক্তিযুদ্ধকে কেউ স্বীকার করলে তা করতে দেওয়াটাই উচিত। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে পরে তিনি বলেছেন, “গত ১৫-১৬ বছর আওয়ামী লীগও গায়ের জোরে চলেছে। এ সব করলে ছাত্রদের জীবন দিয়ে আনা সাফল্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement