কপটিক খ্রিস্টান গির্জায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু ৪১ জনের। টুইটার থেকে নেওয়া।
রবিবারের প্রার্থনার জন্য কপটিক খ্রিস্টান গির্জায় জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। আচমকা আগুন। মারা যান ৪১ জন। মিশরের রাজধানী কায়রোর ঘটনা।
কায়রোর উত্তর পশ্চিমে রয়েছে কপটিকদের ওই গির্জা। নাম আবু সিফিন। ওই এলাকায় মূলত শ্রমিক শ্রেণির বাস। খবর পেয়ে গির্জায় পৌঁছয় দমকল। নিয়ন্ত্রণে আনে আগুন। তবে এর কারণ এখনও জানা যায়নি। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সরকারের সব বিভাগকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছি।’
পশ্চিম এশিয়ায় খ্রিস্টানদের মধ্যে অধিকাংশই কপট শাখার। মিশরে নাগরিকের সংখ্যা ১০ কোটি ৩০ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে এক কোটিই কপট শাখার খ্রিস্টান। এর আগে বার বার উত্তর আফ্রিকার দেশ মিশরে আক্রান্ত হয়েছেন কপট শাখার খ্রিস্টানরা। ২০১৩ সালে মহম্মদ মোরসিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন সিসি। সে সময় সে দেশে সংখ্যালঘুদের ঘর, গির্জা, স্কুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসি অনেক বেশি সহিষ্ণু বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা। তিনি প্রতি বছর কপটদের প্রার্থনায় উপস্থিত থাকেন। দেশে সাংবিধানিক আদালতের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছেন কপট ধর্মাবলম্বীকে। মিশরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও নতুন নয়। ২০২১ সালের মার্চে কায়রোর পূর্বে শহরতলিতে কাপড়ের কলে আগুন লাগে। মারা যান ২০ জন।