সেপ্টেম্বেরই ভোট শ্রীলঙ্কায়, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ৩৯জন। —ফাইল চিত্র।
সামনেই শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ভোট রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। এ বারের নির্বাচনে শ্রীলঙ্কায় মোট প্রার্থী রয়েছেন ৩৯জন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এক জনও মহিলা প্রার্থী নেই। বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন। ৩৯ জন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন তিন জন তামিল সংখ্যালঘু ও দু’জন বৌদ্ধ সন্তও।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ভোটে লড়ছেন রাজাপক্ষে পরিবারের নমল রাজাপক্ষে, প্রধান বিরোধী নেতা সজিত প্রেমদাস-সহ আরও একাধিক মুখ। শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক বছরে যে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে, সেই আবহে এটিই প্রথম নির্বাচন দ্বীপরাষ্ট্রে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে প্রথম বার এমন আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি।
সেই আর্থিক সঙ্কেটর আবহেই পতন হয় রাজাপক্ষে পরিবারের। তীব্র জনরোষের মধ্যে পড়ে ক্ষমতাচ্যূত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেও দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। সেই রাজাপক্ষে পরিবারেরই ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টায়। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজপক্ষে পরিবারের নমল। তিনি সম্পর্কে মাহিন্দার ছেলে।
১৯৮২ সালের অক্টোবরে যখন প্রথম বার শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল, তখন প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রার্থীর সংখ্যাও। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (২০১৯ সালে) মোট ৩৫ জন প্রার্থী ছিলেন। এ বার সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৫ অগস্ট (বৃহস্পতিবার)। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ছিল। শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, মোট ৪০ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তবে শেষে এক জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। সে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, এ ছাড়া আরও তিন জন প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে তিনটি আপত্তি উঠেছিল, যদিও সেই আপত্তিগুলি খারিজ হয়ে গিয়েছে।