রাফা সীমান্তের কাছে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হামাসের মুক্তি দেওয়া পণবন্দিদের। ছবি: রয়টার্স।
চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হল গাজ়ায়। এই প্রেক্ষিতেই জানা গেল, চুক্তির শর্ত মেনে মোট ২৫ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তার মধ্যে রয়েছেন ১২ জন তাইল্যান্ডের নাগরিক। তাঁদের মুক্তির খবর জানিয়ে এক্স মাধ্যমে (সাবেক টুইটার) বার্তা দিয়েছেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। অন্য দিকে, ইজ়রায়েল প্রশাসন সূত্রে খবর, হামাস মুক্তি দিয়েছে গা়জ়ারই বাসিন্দা ১৩ জন ইজ়রায়েলিকেও। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন মোট ২৫ জন পণবন্দি মুক্তি পেলেন হামাসের কব্জা থেকে। পাল্টা হিসাবে ইজ়রায়েলের জেলে বন্দি প্যালেস্টাইনিদেরও একটি অংশকে মুক্তি দেওয়ার কথা তেল আভিভের। এ ছাড়া অবরুদ্ধ গা়জ়া স্ট্রিপে জ্বালানি এবং রসদ সরবরাহের পথও খুলে দেওয়ার কথা ইজ়রায়েলের।
প্রায় দু’মাস হতে চলল, গাজ়ায় প্রতিশোধের খেলায় মত্ত ইজ়রায়েল। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০ প্যালেস্টাইনির। সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে গোটা এলাকার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা। কাজ করছে না হাসপাতাল, নেই আলো। পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছেন গাজ়াবাসী। কিন্তু ইজ়রায়েল তাতে কান দিতে রাজি নয়। হামাসকে ‘সবক’ শেখাতে বোমাবর্ষণের বিরাম ছিল না এত দিন। শেষ পর্যন্ত কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস এবং ইজ়রায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যদিও তা কবে থেকে কার্যকর হবে, তা নিয়ে ব্যাপক ধন্দ ছিল বিশ্ব জুড়ে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার গাজ়ার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইজ়রায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে আগামী চার দিন ধরে ১৫০ জন প্যালেস্টাইনিকে জেল থেকে মুক্তি দেবে। আর হামাস মুক্তি দেবে ৫০ জন পণবন্দিকে। এ তো গেল খাতায় কলমে লেখা হিসাবের কথা। যুদ্ধের ময়দানে সে কথা দু’পক্ষের কতটা মাথায় থাকে, সেটাই এখন দেখার।