—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কিশোর বয়স থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন, ৩৫ বছরে চাকরি থেকে অবসর নেবেন। সে জন্য প্রায় ৪১ কোটি টাকার সঞ্চয়-সহ দু’টি বাড়ির মালিকানার লক্ষ্য ছিল তাঁর। তবে ধার করে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের জেরে ৬৭ লক্ষ টাকা খোয়ালেন গুগ্লের এক সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বিনিয়োগের ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ নিয়ে হা-হুতাশ করলেও আমেরিকার ২২ বছরের ওই যুবকের পরামর্শ, ‘‘নিজের পয়সা থাকলে তবেই বিনিয়োগ করুন!’’
ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টির বাসিন্দা ইথান এনগুয়োনলি নামে ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর মতে, জীবনের সবচেয়ে বড় আর্থিক ভুল করেছেন তিনি। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘সিএনবিসি মেক ইট’-এর কাছে এক সাক্ষাৎকারে ইথান জানিয়েছেন, কিশোর বয়স থেকেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছিলেন। অবসর জীবনের জন্য এখনও পর্যন্ত এক কোটির বেশি টাকা এবং দু’টি বাড়ির মালিকানা রয়েছে। তবে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর জুন পর্যন্ত ৬৭ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে, ২৪ লক্ষ-সহ মুনাফায় পাওয়া অন্তত ৪১ লক্ষ টাকা।
কোন কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছিলেন ইথান? সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, বিটকয়েন এবং ইথারেয়ামে ৩৩ লক্ষ ছাড়া শিবা ইনু এবং ডগইকয়েনের মতো অল্টকয়েনেও টাকা ঢেলেছিলেন। বিটকয়েনের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় ধার করে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। বিটকয়েনের মূল্যের সর্বোচ্চ উচ্চতায় গেলে তাঁর বিনিয়োগের দাম বেড়ে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা হয়েছিল। তবে ২০২১ সালের শেষে ক্রিপ্টোর মূল্যে পতনের শুরু। পরের বছরের গ্রীষ্মে তা ৭০ শতাংশ পড়ে যায়। যার জেরে বড়সড় ধাক্কা লাগে ইথানের পোর্টফোলিয়োতে। ‘সিএনবিসি মেক ইট’-এর কাছে তিনি বলেন, ‘‘বিনিয়োগে জন্য এমন অর্থ কাজে লাগাচ্ছিলাম, যা আমার নিজের নয়। এক বার ক্রিপ্টোর দাম পড়তে শুরু করলে আমার লোকসানও বেড়ে যায়।’’ বিটকয়েন বা ইথারেয়ামের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আস্থা রাখলেও অল্টকয়েনে বিনিয়োগে ঝুঁকি রয়েছে বলে মত ইথানের।