৯/১১ সন্ত্রাসের সেই ছবি। —ফাইল চিত্র।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গিহানায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা। আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সেই জঙ্গি হামলায় নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা সম্ভব হল ২২ বছর পরে। তাঁদের দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন। পরিবারের অনুরোধে নিহত পুরুষ ও মহিলার পরিচয় অবশ্য গোপন রাখা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের চিফ মেডিক্যাল এগজ়ামিনার জানিয়েছেন, এই নিয়ে ২৭৫৩ জন নিহতের মধ্যে ১৬৪৯ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামিকাল সেই হামলার ২২ বছর পূর্তি।
প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথাগত ডিএনএ পরীক্ষার বদলে ‘নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং টেকনলজি’ ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্ষেত্রে। শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, ‘আশা করি স্বজন হারানো মানুষেরা এই আশ্বাস পাবেন যে দ্রুত বাকিদের পরিচয় খুঁজে বার করা হবে।’
চারটি বিমান ছিনতাই করে ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর এই সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল আল কায়দা। দু’টি বিমান আছড়ে পড়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। একটি আঘাত হেনেছিল পেন্টাগনের পশ্চিম অংশে। আর একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল পেনসিলভেনিয়ার শ্যাঙ্কসভিলের একটি মাঠে।
২০০১ সালের এই জঙ্গি হানা বদলে দিয়েছিল আমেরিকাকে। তার পর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। হত্যা করা হয়েছে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে। প্রতি বছর ওই তারিখে নিউ ইয়র্কের গ্রাউন্ড জ়িরো, যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ওই টুইন টাওয়ার, সেখানে এ দিন প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এ বছরেও সেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।