প্রতীকী ছবি।
এইচ১-বি ভিসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্টের নয়া নীতির বিরুদ্ধে এ বার আদালতে মামলা দায়ের হল। আমেরিকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যক্তি মিলিয়ে মোট ১৭টি পক্ষ মামলায় শামিল হয়েছে। সোমবার কলম্বিয়ার জেলা আদালতে দায়ের হওয়া ওই মামলায় দাবি করা হয়েছে, নতুন এই ভিসা আইনের চূড়ান্ত খসড়া ভুলে ভরা, স্বেচ্ছাচারী ও স্ববিরোধী। ফলে আইন আনার উদ্দেশ্যই সফল হবে না।
এ বছরের জুনে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, অভিবাসী নন, এমন যাঁরা এইচ১-বি-সহ অন্যান্য ‘নন-ইমিগ্র্যান্ট’ ভিসায় আমেরিকায় কাজ করতে চান, তাঁদের আপাতত আর ভিসা দেওয়া হবে না। ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি ছিল, বিদেশিদের ভিসা দিলে করোনা-পরিস্থিতিতে মার্কিন বাসিন্দাদের আরও কাজ হারাতে হবে। তার পর সেই আইন কিছুটা শিথিল করে সম্প্রতি চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। তাতে এইচ-১ বি ভিসায় আমেরিকায় নিয়োগ করা হলে তাঁদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশও রয়েছে। এই আইনের বিরুদ্ধেই একজোট হয়ে মামলা দায়ের করেছে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলি।
মামলাকারীদের বক্তব্য, এই আইন আকস্মিক ও অপ্রয়োজনীয় ক্ষতির মুখে ফেলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, উদ্যোগপতি-সহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রকে। মার্কিন অভিবাসন আইনজীবীদের সংগঠনের ডিরেক্টর জেসসি ব্লেস বলেন, ‘‘বেতন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাতে মার্কিন অর্থনীতির কোনও লাভ হবে না। একটার পর একটা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এইচ-১ বি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা মার্কিন মুলুকেই নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেন।’’ তাঁর মতে, এই নীতি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বদলে আরও তলানিতে ঠেলে দেবে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যা ৬টায় ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ মোদীর, কৌতূহল তুঙ্গে
বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এই মামলায় শামিল হওয়ায় তার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়, চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাড কলেজ, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউ ইংল্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিল, অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্ক্রিপস কলেজ, নর্দার্ন অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টাডি মিসিসিপি, ডেনটিস্টস অব আমেরিকা, ফিজিশিয়ানস ফর আমেরিকান হেল্থকেয়ার, হজেস বন্ডেড ওয়ারহাউসের মতো প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ২২ বছর পর সেই ভয়ঙ্কর দৈত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস অর্জন করেছিলাম
এইচ১-বি ভিসায় ভারত ও চিন থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে মার্কিন সংস্থাগুলি। এই নিয়োগ হয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য সেক্টরে। মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির পাশাপাশি নয়া আইনের ফলে সমস্যায় পড়েছেন ভারত-সহ বহু দেশের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরাও।