Death Sentence

দুই মামলায় ১৫ জনের প্রাণদণ্ড বাংলাদেশে

আবার তিন দশক আগে সেনাশাসক হুসেইন মহম্মদ এরশাদের আমলে শেখ হাসিনার গাড়ির বহরে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করার দায়ে পাঁচ পুলিশকর্মীকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালত। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র

কয়েক দশক আগের দু’টি ঘটনায় সোমবার ১৫ জনকে প্রাণদণ্ড দিল বাংলাদেশের দু’টি আদালত। প্রায় দুই দশক আগে পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র জনসভায় বোমা হামলার জন্য ১০ জন হুজি (হরকতুল জিহাদ-ই-ইসলামি) জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দেয় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালত।

Advertisement

আবার তিন দশক আগে সেনাশাসক হুসেইন মহম্মদ এরশাদের আমলে শেখ হাসিনার গাড়ির বহরে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করার দায়ে পাঁচ পুলিশকর্মীকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালত।

এ দিন রায়ে ঢাকার আদালত বলেছে, কমিউনিস্টদের ‘কাফের’ বলে ঘৃণা করার কারণেই তাদের জনসভায় বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসলামি জঙ্গিরা। ২০০১-এর আজকের দিন, এই ২০ জানুয়ারিই হামলাটি চালানো হয়, যাতে ৫ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। ১২ জন জীবিত আসামির মধ্যে আদালত দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়। বাকি ১০ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। সিপিবি-র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বিবৃতিতে বলেছেন, বিচার পেতে ১৯ বছর অপেক্ষা করতে হল। দোষীদের দ্রুত শাস্তি কার্যকর চান তাঁরা।

Advertisement

আবার ৩২ বছর আগে এরশাদ আমলে চট্টগ্রামের লালদিঘিতে আওয়ামি লিগের জনসভায় যাওয়ার সময়ে গাড়ির বহরে গুলি চালিয়ে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে কয়েক জন পুলিশ। হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও দলের ২৪ জন নেতাকর্মী হামলায় মারা যান। এরশাদ আমলে ওই ঘটনার তদন্তই করা হয়নি। পরে বিএনপি আমলেও তদন্ত অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। মারা যাওয়ায় বিচারের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম পুলিশের তৎকালীন কমিশনার ও দুই কনেস্টবলকে। দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির মধ্যে এক জন পলাতক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement