প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পথে সমস্ত জেল থেকে কয়েদিদের মুক্তি দিয়েছিল তালিবান। সূত্রের খবর, সেই সময় আরও অনেকের সঙ্গে বাঘরাম জেল থেকে বেরিয়ে আসে অন্তত ১৪ জন ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান বা আইএসকে-র সদস্য। চাঞ্চল্যকর তথ্য হল ওই ১৪ জনের আদত বাড়ি কেরলে।
অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২৬ অগস্ট কাবুলের তুর্কমেনিস্তান দূতাবাসের সামনে বোমা রাখতে গিয়ে ধরা পড়ে দুই পাকিস্তানি। এই দু’জনই আইএস-কের সদস্য। এদের সঙ্গে কেরলের ওই আইএস-কে সদস্যদের যোগাযোগ ছিল। কাবুলের তুর্কমেনিস্তান দূতাবাসে বোমা রাখতে গিয়ে ধরা পড়া দুই পাক নাগরিক এবং কেরলের ওই ১৪ জনের যোগ রয়েছে বলে নিশ্চিত গোয়েন্দারা।
তালিবানের তরফে অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু অন্দরের সমীকরণ বলছে, কাবুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত হক্কানি নেটওয়ার্কের মূল কেন্দ্র আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশ আইএস-কেরও শক্ত ঘাঁটি। ফলে হক্কানি নেটওয়ার্কের সহযোগিতা নিয়ে আইএসকেপি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক কষেছে কি না তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পাশাপাশি এই খবরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মাথাব্যথা বেড়েছে। কারণ অশান্ত আফগানিস্তানে হিংসার ঘটনায় কেরলের নাম জড়িয়ে গেলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় বেকায়দায় পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। ভারতের কাছে তা মোটেও কাম্য নয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বাঘরাম থেকে মুক্তি পাওয়া ১৪ জন কেরলের বাসিন্দার মধ্যে এক জন বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সেই সূত্রেই তাদের সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে আইএস-এর মসুল দখলের পর কেরলের মল্লপুরম, কাসারগোদ ও কান্নুর জেলা থেকে বেশ কয়েক জন দেশ ছাড়ে। যোগ দেয় আইএস-এ। তাদের মধ্যে কয়েক জন মধ্য-পূর্ব ছেড়ে চলে আসেন আইএস-কের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে।