পাকিস্তানের ওয়াঘায় পাঁচ বছর ধরে থমকে সমঝোতা এক্সপ্রেসের কামরা — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে বন্ধ রয়েছে সমঝোতা এক্সপ্রেস। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে থাকা ভারতীয় রেলের কামরাগুলি এখনও সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফিরতে পারেনি। ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্তের পরই পাকিস্তান সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু সমঝোতা এক্সপ্রেসের ভারতীয় কামরাগুলি তখন ছিল পাকিস্তানের লাহোরে। এখনও সেগুলি লাহোরেই রয়ে গিয়েছে।
সমঝোতা এক্সপ্রেস যখন চালু হয়েছিল, তখন চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের ট্রেনের বগিই চলাচল করার বিষয়ে স্থির হয়েছিল। ভারতীয় রেলের কামরা-সহ ট্রেনটি ছ’মাস চলাচল করবে। পাকিস্তানি রেলের কামরা-সহ ট্রেনটি ছ’মাস চলাচল করবে। এটাই ছিল চুক্তি। সাধারণ ভাবে পাকিস্তানি কামরাগুলি নিয়ে ট্রেন চলাচল করত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত। জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল করত ভারতীয় কামরাগুলি নিয়ে।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরে ৮ অগস্ট শেষ বার চলেছিল সমঝোতা এক্সপ্রেস। পাকিস্তান থেকে ট্রেনটি দুপুর সাড়ে ১২টায় আটারি পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীদের নিয়ে সেটি পৌঁছেছিল বিকেল প্রায় ৫টা নাগাদ। তত ক্ষণে ট্রেন বাতিলের ঘোষণা করে দিয়েছিল পাকিস্তান। তবে প্রাথমিক ভাবে পাকিস্তান থেকে জানানো হয়েছিল, এক দিনের জন্যই ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। তাই আটারিতে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর ভারতীয় কামরা-সহ ফাঁকা ট্রেনটিকে আবার পাকিস্তানেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে ভারতীয় রেলের ওই ১১টি ইঞ্জিন রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের ওয়াঘা স্টেশনেই।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের জুলাই মাস থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চালু হয়েছিল সমঝোতা এক্সপ্রেস। কিন্তু যখনই দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অতীতে একাধিক বার এমন হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সংযোগকারী এই ট্রেনে ছ’টি স্লিপার ক্লাস কামরা ও একটি বাতানুকূল কামরা রয়েছে। অতীতে ভারতের তরফে পাকিস্তানকে বলাও হয়েছে কামরাগুলি ফেরত পাঠানোর জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান তা করেনি।