প্রচণ্ড এবং পোখরেল। ফাইল চিত্র।
প্রায় সাড়ে চার দশক আগে নেপালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ বার পার্লামেন্ট নির্বাচনে তিনিই প্রবীণতম প্রার্থী। গোর্খা জেলার গোর্খা-২ আসনে শতায়ু টিকা দত্ত পোখরেলের প্রতিদ্বন্দ্বী সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড।
ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেসের দলছুট গোষ্ঠী নেপালি কংগ্রেস (বিপি)-র প্রার্থী পোখরেল তাঁর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতি সুশীল মান সেরচান। নিজেকে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী জাতীয়তাবাদী’ বলতেই পছন্দ করেন পোখরেল। একদা নেপালি কংগ্রেসের দখলে থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে গোর্খা-২ আসনটিতে মাওবাদী গোষ্ঠীগুলি জিতে এসেছে। আর এক প্রাক্তন মাওবাদী প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাইও ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। নেপালের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ বার প্রচণ্ড, পোখরেল-সহ মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ নভেম্বর নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ, ২৭৫ সদস্যের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ভোট। মাওয়িস্ট সেন্টারের নেতা ৬৭ বছরের প্রচণ্ড ছাড়াও ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন আরও তিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী— নেপালি কংগ্রেসের শের বাহাদুর দেউবা (দদেলধুরা-১), কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউএমএল)-এর কেপি শর্মা ওলি এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট)-এর মাধবকুমার নেপাল। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের পাশাপাশি হবে প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচনও।