সাগর ঘোষ হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সিউড়ি জেলা আদালতের পাঠানো সমন গ্রহণ করলেন না নিহতের ছেলে হৃদয় ঘোষ। হৃদয়বাবু বলেন, “কেন সমন নিলাম না সেই বিষয়ে সোমবার জেলা আদালতে আবেদন জানাব।”
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খুন হন পাড়ুইয়ের বাঁধ নবগ্রামের বাসিন্দা সাগর ঘোষ। এই হত্যা মামলার তদন্তের জন্য গঠিত বিশেষ তদন্তকারি দল (সিট) গত ১৬ জুলাই আদালতে যে চার্জশিট পেশ করে তাতে নামছিল আট জনের। সেই আট জন হলেন তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সম্পাদক শেখ মুস্তফা, তৃণমূলের কসবা অঞ্চল সভাপতি শেখ ইউনুস, জলধর দাস, জগন্নাথ দাস, প্রিয় মুখোপাধ্যায়, ভগীরথ ঘোষ, সুব্রত রায় এবং শেখ আসগরের (মুস্তফার ছেলে)। শেখ আসগর ছাড়া সাত জনই গ্রেফতার হয়েছিলেন। ভগীরথ ঘোষ ও সুব্রত রায় ছাড়া বাকিরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
সিটের দেওয়া চার্জশিটের ভিত্তিতে সিউড়ি জেলা আদালতে গত ৮ জানুয়ারি চার্জ গঠিত হয়েছে। মামলার সক্ষ্য-প্রামাণ গ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে চলতি মাসের ৯-২১ ফেব্রুয়ারি। সিউড়ি জেলা জজ গৌতম সেনগুপ্তের এজলাসে ওই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলবে। সেই অনুযায়ী মামলায় সাক্ষ্য দিতে পারেন এমন সকলের কাছেই সমন পাঠানো হয়েছে। সেই সমন নিহতের ছেলেই গ্রহণ না করায় প্রশ্ন উঠছে। সরকারি আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি শুনেছি উনি সমন নেননি। তবে ভাল করে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে সমন না নিলে কার্যত আদলতকে অবমাননাই করা হয়। এর পেক্ষিতে আদালত ব্যবস্থা নিতে পারে। কেন তিনি সমন নেননি সেটা খতিয়ে দেখতে আজ, শনিবার ওঁর বাড়ি যাব।” যদিও হৃদয়বাবুর দাবি, “আদালত অবমাননার প্রশ্ন নেই। আসলে সিটের তদন্তই পক্ষপাতদুষ্ট এবং সেই তদন্ত ঠিক হয়নি বলেই তো হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। আমার আপত্তি জানিয়ে সোমবারই তা জেলা আদালতকে জানাব। শুক্রবারই জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কারণে সেটা হয়নি।”