সারদার সম্পত্তি নিলামের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিল কমিশন

রাজ্য সরকার নিয়োজিত শ্যামল সেন কমিশন সারদার স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা মেটাল স্ক্র্যাপ ট্রেডিং কর্পোরেশন (এমএসটিসি)-এর হাতে তুলে দিল। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথমে সারদার গাড়ি নিলামের কাজে হাত দেবে এমএসটিসি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০০:৪১
Share:

রাজ্য সরকার নিয়োজিত শ্যামল সেন কমিশন সারদার স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা মেটাল স্ক্র্যাপ ট্রেডিং কর্পোরেশন (এমএসটিসি)-এর হাতে তুলে দিল। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথমে সারদার গাড়ি নিলামের কাজে হাত দেবে এমএসটিসি। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন কমিশনকে জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থার প্রায় ৪৫০টি গাড়ি রয়েছে। যদিও তার অনেকগুলির ব্যাঙ্কের কিস্তি শোধ করা হয়নি। এই সব গাড়ি কী ভাবে নিলামে তোলা যাবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

Advertisement

সারদার মালিকানাধীন চ্যানেল-১০, দেবকৃপা ব্যাপার লিমিটেড (এখন সময় চ্যানেল) এবং ভিবজিওর সংস্থার প্রতিনিধিদের বুধবার কমিশনে ডাকা হয়। হাজির ছিলেন সুদীপ্ত সেনও। জেরার সময় শ্যামলবাবু ছাড়াও ছিলেন কমিশনের অন্য দুই সদস্য অম্লান বসু ও যোগেশ চট্টোপাধ্যায়। সুদীপ্ত আগে কমিশনকে জানিয়েছিলেন, জেলে ঢোকার পরে চ্যানেল-১০ কী ভাবে চলছে, তা তিনি জানেন না। তাঁর আইনজীবী সমীর দাস এ দিন বলেন, “কর্মচারীরা ফেডারেশন তৈরি করে চ্যানেল-১০ চালাচ্ছে বলে কমিশনকে জানিয়েছেন। এখন চ্যানেল চালাতে এক ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা করছেন। যদিও সুদীপ্ত সেন আজও কমিশনকে জানান, ওই চ্যানেল তিনি বেচে দিতে চান।” শ্যামলবাবু বলেন, “হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশে চ্যানেল চালাচ্ছেন কর্মীরা। তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তা বিক্রি করা যাবে না।” তিনি জানান, দেবকৃপা ব্যাপার লিমিটেডের পুরো মালিকানা সারদা গোষ্ঠীর হাতে আছে বলে রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ-এর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তাই ওই সংস্থার হাতে থাকা চ্যানেল বিক্রি নিয়ে জট নেই। সময় চ্যানেল বিক্রির জন্য শীঘ্র নির্দেশ দেওয়া হবে। ভিবজিওর সংস্থার কিছু নথি না মেলায় আগামী ৬ মার্চ তাদের সময় দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিধাননগর আদালতে সুদীপ্ত সেন লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, সারদা সংস্থার কর্মীদের টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা না করার দায় তাঁর। তিনি দোষ স্বীকার করছেন। বিচারক বলেন, তাঁর এই বক্তব্য ২১ ফেব্রুয়ারি আদালতে জানাতে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানিকে ঘিরে বিধাননগর আদালতে তুমুল তর্কাতর্কি হয়েছিল। সারদা কাণ্ডে ধৃত দেবযানী মুখোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য পুরোপুরি না শুনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে অনশনও করেন কুণালবাবু। এই মামলাতেই এ দিন নিজের দোষ কবুল করেছেন সুদীপ্তবাবু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement