ডুয়ার্স এবং শিলিগুড়িতে সারদা গোষ্ঠীর কিছু জমি ও সম্পত্তি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই সম্পত্তি কেনাবেচায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে ইডি। শুক্রবার ইডি-র অফিসারেরা এলাকার বিভিন্ন ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়ে সারদা সংস্থার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ওই সব সম্পত্তি কেনাবেচার সময় একাধিক ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে বলে ইডি-র এক অফিসার জানিয়েছেন।
দিনভর বিভিন্ন এলাকায় সারদা গোষ্ঠীর একাধিক রিসর্ট ও জমিতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা ইডি-র হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রিসর্টগুলির আসবাবপত্রের বিস্তারিত তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে ইডি।
শিলিগুড়ি-সহ নানা এলাকায় পুলিশের তল্লাশির সময়ে সারদা গোষ্ঠীর বিভিন্ন অফিস থেকে যে সব গাড়ি, কম্পিউটার, বাতানুকূল যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তারও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইডি-র এক অফিসার জানান, যে সব তথ্য ও পরিসংখ্যান মিলেছে, তা সরকারি নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, মালবাজার ব্লকের ময়নাগুড়ি লাগোয়া মৌলানি হরিসভায় থাকা সারদার ৩.৫৯ একর জমিটি ২০০৯ সালে রেজিস্ট্রি করা হয়। ভূমি সংস্কার দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি রেজিস্ট্রির সময়ে সাক্ষী হিসেবে কারা উপস্থিত ছিলেন, সেই ব্যাপারেও এ দিন তথ্য সংগ্রহ করেছেন ইডি-র অফিসাররা।
সারদার লাটাগুড়ির রিসর্টেও গিয়ে সেখানকার ৬টি বাতানুকূল যন্ত্র, ৭টি এলসিডি, ধোঁয়াহীন অত্যাধুনিক জেনারেটর সহ আসবাবের তালিকা তৈরি করেন তাঁরা। বর্তমানে পরিত্যক্ত এই রিসর্টটি এলাকার এক তৃণমূল নেতার দখলে রয়েছে বলে ইডি আগেই খবর পেয়েছিল। ওই তৃণমূল নেতা অবশ্য তখন ইডি-র অফিসারদের জানান, রিসর্টটি নির্মাণের সময়ে তিনি যে কাজ করেছিলেন, সেই বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা এখনও তাঁর পাওনা রয়েছে। সে জন্যই তিনি রিসর্টটি আগলে রেখেছিলেন।
ইডি সূত্রেই জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে সারদা গোষ্ঠী যে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি কিনেছিল, সে ব্যাপারে মধ্যস্থের ভূমিকায় কে বা কারা ছিলেন, তা নিয়ে আজ, শনিবার আরও তথ্য সংগ্রহ করবেন তাঁরা।