স্বজনপোষণ প্রশ্নে বিধায়ককে কটাক্ষ মন্ত্রীর

ময়দানের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার মাথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকেরা রয়েছেন, তা নিয়ে এ বার বিতর্ক বাধল বিধানসভায়। ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার সিপিএমের আমজাদ হোসেন এবং ফব-র বিধায়ক আলি ইমরান রাম্জ (ভিক্টর) প্রশ্ন তোলেন, কোন যোগ্যতাবলে মুখ্যমন্ত্রীর দাদা বা ভাইয়েরা বেঙ্গল ফুটবল দলের ম্যানেজারের পদে আছেন বা বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের চেক স্বাক্ষরকারীর মর্যাদা পেয়েছেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩৩
Share:

ময়দানের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার মাথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের লোকেরা রয়েছেন, তা নিয়ে এ বার বিতর্ক বাধল বিধানসভায়।

Advertisement

ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার সিপিএমের আমজাদ হোসেন এবং ফব-র বিধায়ক আলি ইমরান রাম্জ (ভিক্টর) প্রশ্ন তোলেন, কোন যোগ্যতাবলে মুখ্যমন্ত্রীর দাদা বা ভাইয়েরা বেঙ্গল ফুটবল দলের ম্যানেজারের পদে আছেন বা বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের চেক স্বাক্ষরকারীর মর্যাদা পেয়েছেন? এর জবাবে যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ইমরানকে ‘মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত’, ‘শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ নন’ বলে আক্রমণ করেন। বিধায়কের ‘পারিবারিক সমস্যা রয়েছে, মানসিক ভাবে সুস্থ না-থাকলেই লোকে ভুলভাল বকে’ বলে ভিক্টরকে কটাক্ষ করতে থাকেন অরূপবাবু। বারবার মন্ত্রী ভিক্টরকে এ কথা বলতে থাকায় বাম বিধায়কেরা আপত্তি তোলেন। তখন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মন্ত্রীকে সতর্ক করে বলেন, “এমন কোনও মন্তব্য করবেন না, যাতে সভার কোনও সদস্য আহত হন।” মন্ত্রীর বক্তব্য অবশ্য সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেননি স্পিকার। অরূপবাবু স্পিকারকে বলেন, “আমার প্রত্যেকটি ভাষাই সংসদীয়।’’

এই একই যুক্তি দেখিয়ে অবশ্য রেহাই পাননি ভিক্টর। বাজেট বক্তৃতায় ভিক্টরের নির্ধারিত ৮ মিনিট শেষ হওয়ার আগেই স্পিকার তাঁর মাইক বন্ধ করে দেন। পরে সভার বাইরে ভিক্টর বলেন, “আমি কিছু প্রশ্ন তুলেছিলাম। কোনও অসংসদীয় মন্তব্য করেছি কি না, তা স্পিকারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমি উল্টোপাল্টা বলছিলাম বলে উনি মাইক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন!” ভিক্টর ও আমজাদ যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তার সরাসরি জবাব অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রও। বাম আমলেও বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সর্বোচ্চ পদে ক্রীড়া-কর্তা অশোক ঘোষ ছিলেন। তখন বামেরা কেন আপত্তি জানাননি, বিরোধীদের কাছে তা পাল্টা প্রশ্ন করেন মদনবাবু। তাঁর কথায়, “বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে কেন অশোক ঘোষ বসে থাকবেন, তখন বলেননি তো! এখন গায়ে জ্বালা ধরছে!” ক্রীড়ামন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, অশোকবাবুও কোনও খেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।

Advertisement

বিরোধীরা এ দিন অভিযোগ তোলেন, তৃণমূলের আমলে পাড়ার অনেক খেলার মাঠই প্রোমোটারের দখলে চলে যাচ্ছে। যার জবাবে মদনবাবু বলেন, “একটাও খেলার মাঠ মা-মাটি-মানুষের আমলে প্রোমোটার দখল করেছে, এটা প্রমাণ করতে পারলে আমি ক্রীড়া দফতর থেকে পদত্যাগ করব!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement