মুখ্যমন্ত্রীর উল্টো সুরে কথা বলায় কাউন্সিলরকে শো-কজ

উন্নত নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা নেত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার অভিযোগে বালি পুরসভার এক দলীয় কাউন্সিলরকে শো-কজ করলেন দলের হাওড়া জেলা নেতৃত্ব। পুরসভা ও দলীয় সূত্রের খবর, দুই পুরসভার মিলনের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দিন আগে সিপিএম পরিচালিত বালি পুরসভায় একটি বৈঠক ডাকা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৪ ০৩:১৫
Share:

উন্নত নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা নেত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার অভিযোগে বালি পুরসভার এক দলীয় কাউন্সিলরকে শো-কজ করলেন দলের হাওড়া জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

পুরসভা ও দলীয় সূত্রের খবর, দুই পুরসভার মিলনের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দিন আগে সিপিএম পরিচালিত বালি পুরসভায় একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে ৩৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে বামেদের ৩২ জন এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যামা পারভিনও। বাকি দুই তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি (শহর) অরূপ রায় বলেন, “বৈঠকের পরেই আমাদের দুই কাউন্সিলর আমার কাছে মৌখিক ও লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। সেই অনুযায়ী শ্যামাকে সরকার-বিরোধী কথা বলা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার জন্য শো-কজ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সদুত্তর না-দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও শ্যামার বক্তব্য, তিনি কোনও বিরোধিতাই করেননি। তাঁর কথায়, “এটা দলের নয়, সরকারের সিদ্ধান্ত। তাই সেখানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেছিলাম, হাওড়ার সঙ্গে না-জুড়ে বালিকে আলাদা কর্পোরেশন করা হোক।” সোমবার রাত পর্যন্ত তিনি কারণ দর্শানোর কোনও চিঠি পাননি বলে জানান ওই মহিলা কাউন্সিলর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement