ভক্তবালা বি এড কলেজে ভর্তিতে অনিয়মের তদন্তে আজ, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের জন্য কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন রাজ্য সরকার নিযুক্ত তদন্তকারী আধিকারিক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী।
এক রাশ উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন প্রতারিত ছাত্র-ছাত্রীরা। সঙ্গে ডাকা হয়েছে ভক্তবালা বি এড কলেজ কর্তৃপক্ষকেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কলেজের সম্পাদক অমর বিশ্বাসকে চিঠি দিয়ে ও টেলিফোনে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে। যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে তিনি আসবেন বলে জানিয়েছেন।’’ অমরবাবুর সঙ্গে অবশ্য সরাসরি যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন ধরছেন না টাকা নেওয়ায় অভিযুক্ত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র নেতা তন্ময় আচার্য। তবে, রানাঘাট রেল স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যনগরের বাড়িতে বসে তন্ময়ের বাবা উৎপলবাবু জানিয়েছেন, ছেলে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বলেন, “আমার ছেলে দোষী নয়। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার বিশ্বাস তদন্তে সে নির্দোষ বলে প্রমাণিত হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু আবার ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে। বুধবার টেলিফোনে তিনি ‘তদন্তের স্বার্থে যে কোনও রকমের সাহায্যে প্রস্তুত’ বলে দাবি করেন। তাঁর কথায়, “প্রয়োজনে টেলিফোনে ও ইন্টারনেটে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।’’
এ দিকে, প্রতারিত পড়ুয়াদের অনেকেই বুধবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও ডাক পাননি। তেহট্ট এলাকার বাসিন্দা স্বরূপ সরকার বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও ফোন আসেনি। বন্ধুদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবুও আমি যাব। কারণ আমাদের ভবিষ্যৎটা স্পষ্ট করা জরুরি।’’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন আসেনি বনানী বলের কাছেও। তিনিও বলেন, “আমি যাব। আমাদের পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে হবে যে পরীক্ষার পরে সার্টিফিকেট পাব কি না।”
সবাইকে ডাকা হল না কেন?
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি, প্রথম যে ১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের ফোন নম্বর ওই অভিযোগপত্রে ছিল। তাই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে বাকিদেরকেও জানিয়ে দিতে।