তুহিন সামন্ত ও ঈশ্বরচন্দ্র দাস
কংগ্রেসকর্মী তুহিন সামন্ত খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত নেতাকে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করল বামফ্রন্ট। সিপিএম নেতা ঈশ্বরচন্দ্র দাস তুহিন-হত্যায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি কাটোয়া আদালতে এই মামলার যে চার্জ গঠন হয়, তাতেও নাম রয়েছে তাঁর।
কাটোয়া রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের ইতিহাসের শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্রবাবু দলের ৩৩ বছরের পুরনো সদস্য। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়ায় একটি স্কুলভোটকে কেন্দ্র করে গোলমাল চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তুহিনের। অভিযোগ, কাটোয়ার তৎকালীন ওসি দেবজ্যোতি সাহা তাঁকে গুলি করেন। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয় ঈশ্বরচন্দ্রবাবু-সহ সিপিএমের সাত নেতার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।
তুহিন-হত্যায় অভিযুক্তকে সিপিএম প্রার্থী করেছে জেনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ধমান জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি স্বপন দেবনাথের বক্তব্য, “খুনে অভিযুক্ত কে প্রার্থী করে সিপিএম বুঝিয়ে দিল, তাঁদের দলে কারা সম্পদ!” কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মানুষই এর বিচার করবেন বলে আশা রাখি।” তুহিনের স্ত্রী নিষাদদেবীরও প্রতিক্রিয়া, “জনগণের উপরে ভরসা রাখছি।” প্রচারেও এই বিষয়টি তারা মানুষকে জানাবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস।
সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদারের অবশ্য দাবি, “ওই সব অভিযোগ মিথ্যা। মানুষ তা বিশ্বাস করেননি। তাই সাম্প্রতিক সমস্ত নির্বাচনে ওই এলাকায় আমরা জিতেছি। ঈশ্বর দাস শিক্ষিত। তিনি মানুষের পাশে থাকেন।” প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরে দলের কাটোয়া জোনাল অফিসে বসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ঈশ্বরচন্দ্রবাবু বলেন, “এই কেন্দ্রে আমাদের জয় নিশ্চিত।”