ওড়িশার পদত্যাগী এজি-র নামে চার্জশিট

গ্রেফতার করা হয়েছিল গত ২২ সেপ্টেম্বর। আড়াই মাসের মাথায় বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার মামলায় ওড়িশার প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল অশোক মহান্তির নামে চার্জশিট দিল সিবিআই। বেআইনি অর্থ লগ্নি গোষ্ঠী ‘অর্থতত্ত্ব’-এর মামলায় বৃহস্পতিবার ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। তাতে নাম আছে ওই রাজ্যের বিধায়ক প্রভাত ত্রিপাঠীরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৫
Share:

গ্রেফতার করা হয়েছিল গত ২২ সেপ্টেম্বর। আড়াই মাসের মাথায় বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার মামলায় ওড়িশার প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল অশোক মহান্তির নামে চার্জশিট দিল সিবিআই।

Advertisement

বেআইনি অর্থ লগ্নি গোষ্ঠী ‘অর্থতত্ত্ব’-এর মামলায় বৃহস্পতিবার ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। তাতে নাম আছে ওই রাজ্যের বিধায়ক প্রভাত ত্রিপাঠীরও। এ ছাড়াও নাম রয়েছে অর্থতত্ত্ব গোষ্ঠীর অধীন সাতটি সংস্থার এবং গোষ্ঠীর সিএমডি প্রদীপ শেঠির। সকলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ দিনই কলকাতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র দফতরে হাজির হন ব্যবসায়ী রমেশ গাঁধী। এক সময়ের একটি সংবাদ চ্যানেলের ওই মালিককে ইডি এবং সিবিআই অফিসারেরা ডেকে পাঠিয়েছিলেন সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের সূত্রেই। এর আগেও দু’দিন ইডি-র অফিসে হাজিরা দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। সারদার মিডিয়া ব্যবসায় বিনিয়োগের সূত্র ধরে একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের আয়-ব্যয় সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়। সেই সূত্রেই রমেশের নাম উঠে আসে। তদন্তকারীদের একাংশ জানান, সারদার মিডিয়া ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন অসমের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের

Advertisement

সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। সেখানে রমেশের জড়িত থাকার কিছু সূত্র মিলেছে। ওই বৈদ্যুতিন চ্যানেলের বাণিজ্যিক বিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সিবিআই সূত্রের খবর, ওড়িশায় অর্থ লগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল মহান্তির যোগাযোগের কথা জানতে পারে সিবিআই। সেই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। একটি সূত্রের খবর, বিপদের আঁচ পেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর তিনি ইস্তফা দেন। অভিযোগ, অর্থতত্ত্বের সিএমডি শেঠির কাছ থেকে উপঢৌকন হিসেবে কিছু সম্পত্তি পেয়েছিলেন মহান্তি। তাঁকে গ্রেফতার করে সমস্যায় পড়ে যায় সিবিআই। তাঁর জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে ওড়িশা হাইকোর্টে দাঁড়াতে রাজি হননি সিবিআই-এর প্যানেলে থাকা আইনজীবীরা। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে নিম্ন আদালতের আইনজীবীরা কর্মবিরতি শুরু করে দেন। এমনকী ওড়িশা হাইকোর্টের যে-বিচারপতির এজলাসে প্রথমে মামলাটি উঠেছিল, তিনি সেটি শুনতে চাননি।

একই মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় বিধায়ক প্রভাত ত্রিপাঠীকে। এর ফলে অস্বস্তিতে পড়ে যায় ওড়িশার বিজেডি সরকার। কারণ, ওই দলের এই বর্ষীয়ান বিধায়ক এক সময় বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতকের দায়িত্বে ছিলেন। গ্রেফতারের পরেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement