আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি। আজ, শনিবার মধ্য কলকাতায় দলের সদর দফতর লাগোয়া মাহেশ্বরী সদনে শুরু হচ্ছে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির দু’ দিনের বৈঠক। সেখানে ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ সন্ধ্যায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন। সভাপতি হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সফর। দলের সর্বোচ্চ নেতা রাতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
অমিতই লোকসভা ভোটে গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশে দলকে পরিচালনা করেছিলেন এবং ওই দুই রাজ্যেই বিজেপি আশাতীত সাফল্য পেয়েছিল। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শুক্রবার রাহুলবাবু বলেন, “এমন এক জন হাতে-কলমে কাজ করা মানুষ এ রাজ্যে ২০১৬-র ভোটে আমাদের দিশা দেখাবেন। তাঁর পরামর্শ শুনেই আমরা মিশন ২০১৬-র রোড ম্যাপ তৈরি করব।” রবিবার দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সমাপ্তি বক্তৃতা করবেন অমিত।
অমিতের এই কলকাতা সফরকে উপনির্বাচনেও ব্যবহার করবে বিজেপি। চৌরঙ্গি বিধানসভায় দলের প্রার্থী রীতেশ তিওয়ারির সমর্থনে বৌবাজার ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মোড়ে রবিবার সভা করবেন অমিত। এ রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ, রাহুলবাবু প্রমুখ এ দিন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে উপনির্বাচনে অবাধ ভোট নিশ্চিত করার আর্জি জানান।
আগামী বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে দলের বিদ্বজ্জন বাহিনীকেও তৈরি রাখছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই দলের রাজ্যসভা সাংসদ চন্দন মিত্র এ দিন বিবাদী বাগ চত্বরে একটি বাড়িতে বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে প্রাক্তন আমলা বিক্রম সরকার, আর কে হান্ডা, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস, অভিনেতা নিমু ভৌমিক প্রমুখ উন্নয়ন প্রশ্নে নিজেদের প্রত্যাশা ব্যাখ্যা করেন। চন্দনবাবু বলেন, “২০১৬-য় রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তন করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা রাজ্যকে শিল্পে, বাণিজ্যে, সংস্কৃতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তার জন্যই বিশিষ্টদের মতামত নিতে এই বৈঠক।”