সংগৃহীত চিত্র।
স্নাতক হওয়া সত্ত্বেও স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে পারছেন না। এমনই অভিযোগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বেশ কিছু কলেজের ছাত্রছাত্রীর। কারণ, চতুর্থ সিমেস্টারের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ফল সময় মতো প্রকাশ না করা।
বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পঠনপাঠন হচ্ছে। কিন্তু, বিগত দু’বছর ধরে সময়মতো ফলপ্রকাশ হয়নি বলে অভিযোগ। তার জেরে সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়ারা।
বুধবার এমনই অভিযোগ করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিদ্যাসাগর কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের ষষ্ঠ সিমেস্টারের ছাত্র আশালত হোসেন। তিনি তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ‘‘২০২৩ সালের অগস্ট মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই পরীক্ষায় বসতে পারিনি। পরবর্তী পর্যায়ে ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষার সঙ্গে নিয়ম মেনে চতুর্থ সিমেস্টারের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিয়েছি।’’ কিন্তু ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষায় ফল ঘোষণা হওয়ার পরেও চতুর্থ সিমেস্টারের রেজ়াল্ট হাতে না পাওয়ায় তিনি স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে পারছেন না বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন। তাঁর বছর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আশালতের কথায়, “আমি একা নই, আমার তথ্য অনুযায়ী ৩০ জনেরও বেশি এরকম ছাত্রছাত্রী রয়েছেন, যাঁরা পাশ করেও চতুর্থ সিমেস্টারের ফলাফল ঘোষণা না হওয়ায় কোথাও ভর্তি হতে পারছে না। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছি। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে স্নাতকোত্তরে ভর্তির দু’বারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে। সময় মতো হাতে রেজ়াল্ট না পাওয়ায় আমি বঞ্চিত হচ্ছি।”
এ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও সর্বোপরি পরীক্ষা নিয়মাকের সঙ্গে ফোন বা এসএমএসে যোগাযোগ করেও কোনও উত্তর মেলেনি।
বিদ্যাসাগর কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান সোনারেখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় সমস্যা। চতুর্থ সিমেস্টারের রেজ়াল্ট দেরি করে বের করার ফলে বহু পড়ুয়ার বছর নষ্ট হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”