প্রতীকী ছবি।
ষষ্ঠীর সকালে নতুন সভাপতির বোধনের পথে এগোল বাংলার যুব কংগ্রেস। যুব কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন বর্ধমানের আজ়হার মল্লিক। যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের ফল ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রদেশ যুব সভাপতি পদে আজহার ৩৯ হাজার ১২১ ভোট পেয়ে বাকিদের চেয়ে আগে আছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন শাহিনা জাভেদ, যিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৯২ ভোট। তিন মাস আগে শেষ হয়েছিল অনলাইন ভোট-পর্ব।
কংগ্রেসের অন্দরে শাহিনা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ‘পছন্দের প্রার্থী’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় শাহিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে ব্লক স্তরে ‘বার্তা’ পাঠানোর খবরও দলের অন্দরে চর্চিত হয়েছিল। এই নিয়ে পরপর দু’বার প্রদেশ নেতৃত্বের ‘পছন্দের প্রার্থী’ যুব কংগ্রেসের নির্বাচনে জিততে পারলেন না। সোমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি থাকাকালীন গত বার রোহন মিত্রকে যুব সভাপতি পদে হারিয়েছিলেন শাদাব খান, যিনি তখন অধীরের ‘পছন্দের প্রার্থী’ বলে পরিচিত ছিলেন। আর এ বার প্রদেশ নেতৃত্বের ‘পছন্দে’র শাহিনার চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে বাজিমাত করলেন খণ্ডঘোষের আজ়হার। অধীরবাবূ অবশ্য বলে থাকেন, যুবদের সাংগঠনিক বিষয়ে তাঁর ‘পছন্দের লোক’ বলে কেউ নেই। সকলেই তাঁর আশীর্বাদ চাইতে আসেন, তিনিও শুভেচ্ছা দেন। যদিও কংগ্রেস রাজনীতির সমীকরণে ‘কে কার লোক’ বরাবরই চিনে নেওয়া হয়!
বর্ধমানের আজ়হার ও কলকাতার শাহিনার পরে যুব সভাপতি নির্বাচনে এ বার তৃতীয় স্থানে আছেন মুর্শিদাবাদের মহম্মদ আসিফ ইকবাল। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। নতুন সাংগঠনিক নিয়মে তিন জনের ইন্টারভিউয়ের পরে যুব সভাপতির নাম চূড়ান্ত করবেন সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য আজ়হার ‘কৃতিত্ব এবং ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন প্রাক্তন যুব সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তীর ‘নেটওয়ার্ক’ ও কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের উদ্যোগের প্রতি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেসের সমর্থিত প্রার্থীর জন্য যে ভাবে জেলা ও ব্লক কংগ্রেসগুলোর উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা অভূতপূর্ব। দায়িত্ব পেলে সকলকে নিয়ে যুব সংগঠন তৈরি করব। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের জন্য গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের আদর্শে সম্পৃক্ত অন্য যুব সংগঠনগুলোর সঙ্গেও কথা বলতে চাই।’’