Hoogly

হুগলির ইমামবাড়ায় তরুণীর রহস্যমৃত্যু, পুলিশ বলছে দুর্ঘটনা, পরিবার বলছে খুন 

শনিবার বিকেলে জাহেরাকে বাড়িতে ডাকতে আসেন তাঁর ২ বান্ধবী। ‘‘ঘুরতে যাচ্ছি’’ বলে বান্ধবীদের সঙ্গে স্কুটি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান জাহেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২১ ১৪:১০
Share:

মির্জা কাজি জাহেরা খাতুন।

পরিবারের সন্দেহ খুন, পুলিশ মনে করছে দুর্ঘটনা। হুগলির ইমাববাড়ার তরুণীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত এলাকা। শনিবার বিকেলে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় হুগলি ইমামবাড়ার তরুণী মির্জা কাজি জাহেরা খাতুনের। পুলিশ মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা বললেও, পরিবারের সন্দেহ খুন করা হয়েছে জাহেরাকে। রবিবার সকালে সেই কারণেই বিস্তারিত পুলিশি তদন্তের দাবিতে হুগলি জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। শেষে জেলাশাসক পুলিশকে ফোন করে তদন্তের আশ্বাস দিলে ওঠে বিক্ষোভ।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে জাহেরাকে বাড়িতে ডাকতে আসেন তাঁর ২ বান্ধবী। ‘‘ঘুরতে যাচ্ছি’’ বলে বান্ধবীদের সঙ্গে স্কুটি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান জাহেরা।

সন্ধ্যায় জাহেরার ভাই মির্জা সাগর আলি তাঁকে ফোন করলে তিনি জানান, কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফিরছেন। কিন্ত তাঁর আর বাড়িতে ফেরা হয়নি। পরে অনেক বার ফোন করলেও জাহেরাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। রাত ৯টা নাগাদ এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা তাঁদের বাড়িতে ফোন করে জানান, জাহেরা দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকেরা তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসক তার পরই জাহেরাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ২ বান্ধবীর খোঁজ চালাচ্ছে। এক বান্ধবীর বাড়ি ব্যান্ডেলে আর অন্যজনের বাড়ি গরিফায় বলে জানা গিয়েছে। কে বা কারা তাঁকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেল, কেনই বা পালিয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুর্ঘটনার জেরে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু পুলিশের তত্ত্ব মানতে নারাজ পরিবার। সেই কারণেই রবিবার সকাল থেকে ইমামবাড়ায় হুগলির জেলাশাসকের বাংলোর সামনে অবরোধ শুরু করেন জাহেরার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তরুণীর দাদা মির্জা সাগর আলি বলেন, ‘‘আমাদের সন্দেহ, বোনকে খুন করা হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে।’’ কেন খুন করা হতে পারে সে বিষয়ে সাগর আলি বলেন, ‘‘বোনের আগে বিয়ে হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। হতে পারে সেই ঘটনার সঙ্গে খুনের যোগাযোগ আছে। আমরা চাই, সঠিক তদন্ত হোক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement