গ্রুপ ডি-র জন্য নাম দিতে দৌড় তৃণমূলে

রাজ্যের গ্রু-ডি পদে কর্মী নিয়োগের জন্য দলীয় বিধায়কদের থেকে সুপারিশ চাওয়া হয়নি বলে শনিবার দাবি করেছিলেন নবান্ন ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব! অথচ বাস্তব হল, বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের থেকে এ জন্য ‘গোপনে’ নাম জমা নেওয়া হচ্ছে বহাল তবিয়তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ০২:৫৩
Share:

রাজ্যের গ্রু-ডি পদে কর্মী নিয়োগের জন্য দলীয় বিধায়কদের থেকে সুপারিশ চাওয়া হয়নি বলে শনিবার দাবি করেছিলেন নবান্ন ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব! অথচ বাস্তব হল, বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের থেকে এ জন্য ‘গোপনে’ নাম জমা নেওয়া হচ্ছে বহাল তবিয়তে।

Advertisement

শুক্রবার নবান্নের তরফে তৃণমূল বিধায়কদের বলা হয়েছিল, সরকার গ্রুপ ডি পদে প্রচুর নিয়োগ করবে। শাসক দলের প্রত্যেক বিধায়ক যেন নিজের এলাকা থেকে পাঁচ জন করে প্রার্থীর নাম সুপারিশ করেন। কংগ্রেস বা সিপিএম থেকে সদ্য তৃণমূলে আসা বিধায়করাও সেই সুবিধা পাবেন। সেই খবর জানাজানি হতে, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এমন মোটেই হচ্ছে না। গ্রুপ ডি পদে সরকারি নিয়ম মেনেই নিয়োগ হবে।

কিন্তু মঙ্গল ও বুধবার বিধানসভায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক মুখ বন্ধ খামে পাঁচ জন করে চাকরি প্রার্থীর নাম জমা দিচ্ছেন সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের কাছে। বস্তুত দোলের ছুটির পর সুপারিশ জমা দিতে এখন হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে বিধানসভায়। তৃণমূলের যে সব বিধায়ক এখনও সুপারিশ জমা দেননি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা পেশ করতে তাদের অনুরোধও করা হচ্ছে। কারণ, শীঘ্রই সব সুপারিশ একত্রিত করে নবান্নে পাঠানো হবে।

Advertisement

সরকারের এই ‘স্বজনপোষণ’ ও ‘দুর্নীতির’ নিন্দায় মুখর হয়েছেন বিরোধীরা। পাশপাশি বিরোধী দলের বিধায়করা বিড়ম্বনাতেও পড়েছেন। কারণ, জেলায় জেলায় গুজব ছড়িয়েছে যে, সব বিধায়কই পাঁচ জন করে প্রার্থীর নাম সুপারিশ করতে পারবেন। ফলে বাম-কংগ্রেসের বিধায়কদের বাড়িতে বা দফতরে সকাল থেকেই অনেকে এসে আর্জি জানাচ্ছেন। যেমন কংগ্রেসের বিধায়ক দুলাল বর এ দিন বলেন, ‘‘ওঁদের বোঝাতে পারছি না যে, এই সরকার শুধু তৃণমূল বিধায়কদের থেকেই নাম নিচ্ছে! আমাদের থেকে নয়!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement