শেখ শাহজাহান ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতারের দাবিতে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।
বিক্ষোভ অব্যাহত সন্দেশখালিতে। বুধবার বয়ারমারি ১ পঞ্চায়েত এলাকায় খেলার মাঠ দখলের বিরুদ্ধে পথে নামেন মহিলারা। বেড়মজুর ১ ও ২ পঞ্চায়েতেও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাটমানি খাওয়ার অভিযোগে সরব হন এলাকার মানুষ। এ দিকে, হাই কোর্টের অনুমতি পাওয়ার পরে আজ, বৃহস্পতিবার জেলিয়াখালি যাওয়ার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শর্ত, কোনও হাঙ্গামা করা যাবে না। পাশাপাশি, সিপিএম নেতা বিমান বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের একটি দলের ওই দিনই ন্যাজাট যাওয়ার কথা। বামেরা সেখানে সভাও করতে পারেন।
বয়ারমারি ১ পঞ্চায়েতের খড়িহাটে একটি খেলার মাঠ দখল করে হাট তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে এ দিন সদ্য তৈরি ইটের কাঠামো ভেঙে দেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা নমিতা মাইতি, শেফালি মাইতিরা বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল সদস্যের স্বামী শান্তনু জানা শাহজাহানের ভয় দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থে খেলার মাঠ দখল করে এই হাট তৈরি করছে। বাচ্চাদের খেলার মাঠে কোনও নির্মাণ চলবে না। এই মাঠে মনসা পুজোও হয়।” পঞ্চায়েত প্রধান সাবিনা ইয়াসমিন ঢালি বলেন, “পাশে কানমারি বাজারে রাস্তায় বসে ব্যবসা করেন অনেকে। তাঁদের সুবিধার জন্য এই মাঠে সরকারি ভাবে স্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এটা খেলার মাঠ ছিল না। পুজো হত। তার জায়গা রেখেই হাট তৈরি হচ্ছিল।”
বেড়মজুর ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তপন সর্দার, বেড়মজুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হন এলাকার মানুষ। পুলিশের শিবিরে গিয়ে অভিযোগও করেন অনেকে। তপনের স্ত্রী কণিকা সর্দার বলেন, “সব মিথ্যা অভিযোগ।” সিদ্দিক বলেন, “কিছু বিজেপির লোক চক্রান্ত করে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।” বেড়মজুর ১-এর ঝুপখালি এলাকায় এ দিন শাহজাহান, সিরাজউদ্দিনদের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করে পুলিশের শিবিরে এসে স্মারকলিপি দেন মহিলারা।
এ দিকে এ দিন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে পুরনো একটি খুনের মামলায় বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। উত্তমের আইনজীবী সঞ্জয় দাস জানান, ২০২৩ সালের অগস্টে বনগাঁর ট্যাংরা কলোনি এলাকায় খুন হন বিষ্ণু মণ্ডল। তিন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ মামলায় উত্তমের নাম যুক্ত করা হয়। এ দিন আদালতে চত্বরে উত্তম বলেন, “এই খুনের বিষয়ে কিছু জানি না।”