গত রবিবার থেকে প্রতিদিনই ওই বিদেশি মহিলার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
দিন চারেক আগে কুয়ালা লামপুর থেকে কলকাতায় এসে বিমানবন্দরে নামার পরেই তাঁর করোনা ধরা পড়েছিল। তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও করোনা পজ়িটিভ আসে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাতে কিছুটা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন পেশায় সামাজিক স্বাস্থ্যকর্মী ওই অস্ট্রেলীয় মহিলা। অবশেষে আজ, শুক্রবার আইডি হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে সেই বিদেশিনিকে। কারণ, বৃহস্পতিবার তাঁর আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
গত রবিবার থেকে প্রতিদিনই ওই বিদেশি মহিলার করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার আগে তাঁকে ছুটি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বুধবার তাঁর লালারসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ক্যালকাটা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে এখনও কয়েক দিন লাগবে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার আর ন্যূনতম উপসর্গও নেই বছর আটচল্লিশের ওই মহিলার। আজ ছুটি পাওয়ার পরে তিনি বুদ্ধগয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলেই চিকিৎসকদের জানিয়েছেন। সেখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তিনি কলকাতায় এসেছিলেন।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, ওই মহিলার লালারসের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে। রাজ্যে এই দফায় দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা এখনও দশের নীচে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এখনও উদ্বেগজনক নয়। তবে আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত আছি।” সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ৩ জানুয়ারি রাজ্যের কোভিড বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি বৈঠকে বসবে। সেখানে কোভিড প্রোটোকল তৈরি করার প্রয়োজন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
নতুন বছরে দেশে করোনা ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের একাংশ। করোনা অতিমারির প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অসংখ্য ওষুধ ব্যবহার করা হত। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় তা অনেক কমে যায়। নির্দিষ্ট কয়েকটি ওষুধেই কাজ হয়েছে। রাজ্যের কোভিড কমিটির সদস্য, শিক্ষক-চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালি বলেন, “বিভিন্ন দেশে এখন যে-সব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। আমাদের এখানে কী ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা যায়, তা-ও ঠিক করা হবে।”