প্রতীকী ছবি।
সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে বিধানসভায় উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে শাসক ও বিরোধীর মধ্যে। অভিযোগ উঠেছে, অনেক সময় সেখানকার বাসিন্দা মহিলাদের ক্ষেত্রে জওয়ানরা ঠিক ব্যবহার করেন না। এ দিন যেন সেই অভিযোগেরই জবাব দিলেন বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি রবি গাঁধী। তিনি জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রামের মহিলাদের কোনও পুরুষ জওয়ান তল্লাশি করেন না। তাঁর হিসাব অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে সীমান্তগুলিতে ৮০০ মহিলা বিএসএফ কর্মী রয়েছেন। তাঁরা মহিলাদের তল্লাশি চালান।
এ দিন শিলিগুড়ির কদমতলায় বিএসএফ দফতরে বসে রবি গাঁধী বলেন, “বিএসএফ সুশৃঙ্খল বাহিনী। যে সব অভিযোগ উঠেছে, তা ভিত্তিহীন।’’ একই সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, ‘‘মানুষের কোনও জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে
পুলিশকে জানাক। আমরাও তদন্ত করব। দোষ প্রমাণিত হলে যথাযোগ্য শাস্তি হবে।”
সম্প্রতি বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করেছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রস্তাব পাশ হয়েছে বিধানসভায়। সেখানে আলোচনার সময়ে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ এই নিয়ে অভিযোগ তুলে দাবি করেন, সীমান্ত এলাকায় মহিলাদের সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিএসএফ যথাযথ নয়। এই নিয়ে বিজেপি তীব্র প্রতিবাদ করে। বিএসএফের বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগকে ‘কুরুচিকর আক্রমণ’ বলে তকমা লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁদের কেউ কেউ। যদিও মহিলাদের সঙ্গে অন্যায্য আচরণের নালিশ উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এখনও উঠছে। মনে করা হচ্ছে, এমন একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিএসএফ কর্তার এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকের কারণ, নিজেদের পক্ষে যুক্তি দেওয়া এবং সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যে তাঁদের বিরোধ নেই, সেই বার্তাও দেওয়া।
রবি গাঁধী এ দিন বলেন, “পুলিশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল। যৌথভাবে এর আগেও কাজ করেছি। এখন রোজ ৭-৮ জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালানো হয়।” একই সঙ্গে বিএসএফের আইজির বক্তব্য, ‘‘যে সব অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। বিএসএফ কেন্দ্রের সরকার দ্বারা গঠিত বাহিনী। খুব পেশাদার।” এক্তিয়ার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমাদের এক্তিয়ার বাড়লেও ক্ষমতা বাড়েনি। আগের মতোই ক্ষমতা থাকছে। এফআইআর কিংবা কোনও ঘটনার তদন্তের অধিকার আমাদের নেই। সামঞ্জস্য রেখে পুলিশের সঙ্গেই আমরা কাজ করব।”