মৃত তপন সাউ।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে ধর্ষণ করতে এসেছিল প্রতিবেশী যুবক। নিজেকে বাঁচাতে লোহার রড দিয়ে পাল্টা ওই যুবককে আক্রমণ করল ওই বধূ। আর তাতেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। অভিযোগ মৃত যুবককে এর পর বাড়ির পাশে কলা বাগানে পুঁতে দেন ওই মহিলা।
তিন দিন পর, নিজেই সেই খুনের কথা থানায় গিয়ে কবুল করেন বধূ। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে যুবকের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ডহারবারের উস্তি থানা এলাকার স্বরাচি গ্রামে।
গত ২৫ জুলাই রাত থেকেই নিঁখোজ ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দা তপন সাউ। পঁচিশ বছরের তপন। তাঁর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও হদিশ করতে পারেনি তপনের। খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২৭ জুলাই সন্ধ্যায়। নিজেই থানায় চলে যায় ওই বধূ। পুলিশকে জানায়, তপনকে খুন করে বাড়ির পাশেই কলা বাগানে পুতে দিয়েছে সে।
আরও পড়ুন: অপুষ্টিতে ভুগত গোটা জেলা, অভিনব পদ্ধতিতে ভাগ্য বদলালেন জেলাশাসক
রাত ১০টা নাগাদ পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তপনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বছর তিরিশের ওই মহিলা অনিতা মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তপন তাকে বিরক্ত করছিল। ওই দিন রাত ১টার সময় স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে হঠাৎ হাজির হয়। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন হাতের কাছে একটি লোহার রড পেয়ে, তাই দিয়েই তপণের মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে তপন। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অনিতার বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতিও রয়েছে। এক বার তিনি বলেছেন, তাঁর ছ’বছরের মেয়ে কোয়েলকে মারার চেষ্টা করেছিল ওই তপন। তখন লোহার রড দিয়ে আঘাত করে।
আরও পড়ুন: জলবন্দি যাত্রিবোঝাই ট্রেন, ১৭ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার ১০৫০ জন
তবে গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, তপনের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। পুলিশ অনিতাকে গ্রেফতার করেছে। অনিতার স্বামী ফেরার। অনিতা স্বীকার না করলেও, পুলিশের অনুমান, খুনের পর দেহ লোপাটে সাহায্য করেছিল অনিতার স্বামী। তাকেও খুঁজছে পুলিশ।