Extortion

লাখ টাকা ‘তোলায়’ ব্যবসার অনুমতি! আনন্দবাজার অনলাইনের খবরের জের, মহিলার অভিযোগের তদন্ত শুরু

গত ২৬ অগস্ট আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, মাছ বিক্রি করার জন্য মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজারে বসতে গেলে কৃষ্ণা দাস নামে এক বিক্রেতাকে বাধা দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ২০:৩৭
Share:

মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজারের মাছ বিক্রেতা কৃষ্ণা দাস। —নিজস্ব চিত্র।

মাছের বাজারে ব্যবসা করতে হলে ১ লক্ষ টাকা তোলা দিতে হবে। এমনই অভিযোগ করেছিলেন মেদিনীপুরের এক মহিলা মাছ ব্যবসায়ী। আনন্দবাজার অনলাইনে সে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কার্যত নড়েচড়ে বসেন মেদিনীপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরসভার পক্ষ থেকে ওই বাজার কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ২৬ অগস্ট আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, মাছ বিক্রি করার জন্য মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজারে বসতে গেলে কৃষ্ণা দাস নামে এক বিক্রেতাকে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে কোতোয়ালি থানায় কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কৃষ্ণা। মেদিনীপুর পুরসভা-সহ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয় পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ওই বাজারের দায়িত্বে রয়েছেন এলাকার কাউন্সিলর সৌরভ বসু। পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই বাজার কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলাকে বাজারে মাছের ব্যবসা করতেও বলা হয়েছে। এ ছাড়া, ওই বাজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার কাউন্সিলর সৌরভ বসুকে। ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী বাজারে চায়ের দোকান করার পাশাপাশি মাছের ব্যবসাও শুরু করেছেন।’’

Advertisement

কৃষ্ণার অভিযোগ ছিল, ‘‘বাজারে বসতে গেলে ১ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। বিষয়টি লিখিত ভাবে থানা ও পুরসভায় জানানো হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানানো হয়। পুরসভা থেকে বাজারে বসতে অনুমতি দিয়েছে। বাজারে মাছ বিক্রি করছি। আর কোনও বাধা পায়নি। বাজার কমিটিকে টাকাও দিতে হয়নি।’’ ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৌরভ বসু জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘দু’পক্ষের সঙ্গে কথাবার্তার পর ওই মহিলাকে বাজারে বসতে বলা হয়েছে। তিনি এবং তাঁর স্বামী বাজারে মাছ বিক্রি ও চায়ের দোকান, দুটোই করছেন। সেই সঙ্গে মাছ বাজার কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement