Sainthia

নৌকা মেলেনি, কড়াইয়ে মাঝনদীতে মহিলার মৃত্যু বীরভূমে

এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নৌকার বন্দোবস্ত যে করা যায়নি, তা মেনেছে প্রশাসনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২০ ০৩:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রশাসনে জানিয়েও নৌকা মেলেনি। লোহার কড়াইয়ে নদী পেরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মাঝনদীতেই মৃত্যু হল এক মহিলার। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম নওয়ারা বিবি (৩৭)। বাড়ি সাঁইথিয়া ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রামে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নৌকার বন্দোবস্ত যে করা যায়নি, তা মেনেছে প্রশাসনও।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়ার কুলতোড়, ঘাসবেড়া, গোবিন্দপুর-সহ ৮টি গ্রামকে দ্বীপের মতো মাঝে রেখে এক দিকে বয়ে গিয়েছে ময়ূরাক্ষী, অন্য দিকে তার শাখা কানা নদী। তাই সারা বছরই কার্যত জলবন্দি থাকতে হয় ওই সব গ্রামের বাসিন্দাদের। ওই ৮টি গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস। বর্ষায় নদীতে জল বাড়লেই ওই চরের গ্রামগুলির সঙ্গে চরের এক দিকে থাকা সিউড়ি এবং অন্য প্রান্তে থাকা মহম্মদবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বছরের অন্য সময় নদীতে জল কম থাকায় লোহার কড়াইয়ে পেরিয়ে গেলেও বর্ষার সময় নৌকাই ভরসা। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, এ বার এত বর্যা হয়েছে। মাস খানেক আগে থেকে প্রশাসনের সকল স্তরে নৌকার দাবি জানিয়েও তা মেলেনি।

তারই মাসুল ওই মহিলাকে নিজের প্রাণ দিতে দিতে হল বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ নওয়ারা বিবির প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। নৌকা না থাকায় গ্রামবাসীরা তাঁকে লোহার কড়াইয়ে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝ নদীতেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার স্বামী শেখ ইয়াদ রসুল বলেন, ‘‘ভরা নদীতে কড়াইয়ে করে পারাপার করতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। নৌকা থাকলে হয়তো স্ত্রীকে বাঁচানো যেত।’’

Advertisement

গোবিন্দপুরেরই বাসিন্দা তথা সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূলের সদস্য শেখ আরিবুল বলেন, ‘‘এই প্রথম নয়, নদী পারাপারের দুর্ভোগের জন্য আগেও একাধিক প্রাণ গিয়েছে। মাস দেড়েক আগে পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও এমনকি বিধায়ককে জানিয়েও এ বার নৌকার ব্যবস্থা হয়নি।’’ বিডিও (সাঁইথিয়া) স্বাতী দত্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কড়াইয়ের নদী পার হতে গিয়ে ওই গ্রামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। অনেক চেষ্টা করেও নৌকা জোগাড় করা যায়নি। যত দ্রুত সম্ভব নৌকা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’’ গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, প্রশাসনের পক্ষে একটা নৌকা জোগাড় করে দেওয়া কী এমন কঠিন কাজ!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement