স্বামী-সহ আবাসন ছাড়া নার্স

আউশগ্রাম ২-এর বিডিও সৃঞ্জনী শেখর বলেন, “যা বলার এসডিও বলবেন।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০৫:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

টানা ১৫ দিন কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালের শিশু বিভাগে ‘ডিউটি’ করার পরে, ছুটি পেয়ে স্বামীর কর্মস্থলে গিয়েছিলেন এক নার্স। অভিযোগ, করোনা-সংক্রমণে হাসপাতালে এক জনের মৃত্যুর পরে, ওই নার্স বাড়ি ফিরেছেন সন্দেহে ৭ এপ্রিল (বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস) পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ ব্লক অফিস চত্বরের আবাসনে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে ঘেরাও করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। জোর করে দম্পতিকে আবাসন ছাড়তে বাধ্য করা হয়। বিডিও, পুলিশের সাহায্য মেলেনি।

Advertisement

চিকিৎসকদের সংগঠন ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’ শুক্রবার রাজ্যের দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তা (‌মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা)-র কাছে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি দিয়েছে বলে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, “ওই নার্স ও তাঁর স্বামীকে বিডিও-র নির্দেশে পুলিশ আবাসন থেকে বার করে দিয়েছে।’’ ওই নার্সের স্বামী ব্লক অফিসের কর্মী। বর্তমানে হাওড়ায় রয়েছেন দম্পতি। এ দিন বহু চেষ্টাতেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

আউশগ্রাম ২-এর বিডিও সৃঞ্জনী শেখর বলেন, “যা বলার এসডিও বলবেন।’’ মহকুমাশাসক (বর্ধমান উত্তর) পুষ্পেন্দু সরকার বলেন, “গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে ঘেরাও করেছিলেন। বিডিও দম্পতির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই আবাসনে থাকবেন না জানানোর পরে তাঁদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।’’ পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়েরও দাবি, “এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কারও যোগাযোগ হয়নি।’’ স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি জানি না।’’ আর এক স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব আসেনি মেসেজের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement