রাজ্য সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সিদ্ধান্ত ছিল, ৭২ বছরের বেশি বয়সি কাউকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হবে না। একই সঙ্গে আগের মতো ষাট বছরের ঊর্ধ্বের কোনও নেতা নতুন করে রাজ্য কমিটির সদস্য হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের তুলেআনতে নিচুতলাতেও বয়সসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য কমিটিতে একঝাঁক নতুন মুখ আনল সিপিএম। প্রতীকী ছবি
প্রবীণ নন, এ বার ভরসা রাখতে হবে নবীন প্রজন্মের উপরেই। তাই অনেক আলাপ আলোচনার পর সদস্যদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে সিপিএম পলিটব্যুরো। রাজ্য সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সিদ্ধান্ত ছিল, ৭২ বছরের বেশি বয়সি কাউকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হবে না। একই সঙ্গে আগের মতো ষাট বছরের ঊর্ধ্বের কোনও নেতা নতুন করে রাজ্য কমিটির সদস্য হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের তুলেআনতে নিচুতলাতেও বয়সসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
সেই বার্তা আগেই পৌঁছে গিয়েছিল জেলা, এরিয়া, এমনকী জোনাল কমিটিগুলিতে। দলীয় নিয়ম মেনেই তাই দলের সমস্ত কমিটি থেকে বাদ গেলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, মৃদুল দে, নেপালদেব ভট্টাচার্য, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতারা। সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হলেন মহম্মদ সেলিম। তাঁকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সিপিএমের নতুন রাজ্য কমিটিতে একঝাঁক নতুন মুখকে তুলে আনা হয়েছে। নতুন মুখের মধ্যে রয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, শতরূপ ঘোষ, ময়ূখ বিশ্বাসরা। প্রতিকুর রহমান এসএফআই-এর রাজ্য সভাপতি হিসেবে রাজ্য কমিটিতে এসেছেন। রয়েছেন সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সদস্যসুদীপ সেনগুপ্তও। যাদবপুর এলাকায় শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালিয়ে যাওয়ার জন্য কলকাতা জেলা সম্মেলনে জোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সুদীপ। কিন্তু সব সমালোচনাকে পিছনে ফেলে শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। সেই সুদীপও তাঁর কাজের পুরস্কার পেয়েছেন বলেই মনে করা হয়েছে।
এ ছাড়াও রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েছেন আত্রেয়ী গুহ, পার্থ মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একইভাবে স্থান পেয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের মতো দীর্ঘদিনের নেতাও।