বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়কদের আসন বদল হতে পারে বিধানসভায়। ফাইল চিত্র
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা চলাকালীন বারবার বাধা দিচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদ করেছিলেন বিজেপির ওই চার বিধায়ক। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওয়াকআউট করেন বাকি বিজেপি বিধায়করা। ওই চার বিধায়কের অভিযোগ, অধিবেশন ছাড়ার সময় বিরোধী দলনেতা তাঁদের আয়কর দফতরের নোটিস পাঠানোর বন্দোবস্ত করছেন বলে হুমকি দেন। শুভেন্দু তাঁদের প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই বিধায়কেরা। অধিবেশনেই বিষয়টি তোলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়কদের বিধানসভায় আসন বদল করা হতে পারে। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর উত্তরের মুকুল রায়, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ এবং কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়— এই পাঁচ বিধায়কের বিধানসভায় আসন বদল করা হতে পারে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা চলাকালীন বারবার বাধা দিচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদ করেছিলেন বিজেপির ওই চার বিধায়ক। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ওয়াকআউট করেন বাকি বিজেপি বিধায়করা। ওই চার বিধায়কের অভিযোগ, অধিবেশন ছাড়ার সময় বিরোধী দলনেতা তাঁদের আয়কর দফতরের নোটিস পাঠানোর বন্দোবস্ত করছেন বলে হুমকি দেন। শুভেন্দু তাঁদের প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই বিধায়কেরা। অধিবেশনেই বিষয়টি তোলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ শোনার পর বলেন, “গুরুতর অভিযোগ। স্পিকারকে জানাতে বলেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হবে।” পরে এ বিষয়ে স্পিকারের সঙ্গেকথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই মুকুল-সহ পাঁচ বিধায়কের আসন বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।মুকুল বুধবারের গোলমালে না থাকলেও, তাঁর আসনও বদল করা হবে।
আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে বিধানসভার অধিবেশন। দোলের জন্য বৃহস্পতিবার তিনদিনের বন্ধ হয়ে গেল বিধানসভা। সোমবার থেকে ফের শুরু হবে অধিবেশন। ওই দিন থেকেই পাঁচ বিধায়কদের আসন বদল করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা বিরোধী বিধায়কদের ব্লকে বসলেও, জায়গা সম্পূর্ণ বদল করে দেওয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘ওই পাঁচজন বিধায়ক দলবদল করে অনেক আগেই তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। তাই ওঁরা কোথায় বসলেন তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। তৃণমূলের নির্দেশে যদি ওঁরা শাসকদলের ব্লকে বসে, তাহলে ভাল হয়। কারণ বিরোধী আসনে বসে তো আর সরকারের ভজনা করা যায় না। সেটা ওই বিধায়কদের জানা উচিত।’’