Babri Demolition Day

বাবরি ধ্বংসের স্মরণে দুই পথে বাম ও বিজেপি

হিন্দু জাগরণের অস্ত্রেই শাণ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। অন্য দিকে পথে নেমে বামেদের দাবি, বাংলাদেশের পাশাপাশি এ দেশেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:১২
Share:

ভিন্ন দাবি: পথে বাম ও বিজেপি। —নিজস্ব চিত্র।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে নিপীড়েনর ঘটনার আবহে বাবরি মসজিদ ধবংসের দিনে পথে নামল বিজেপি ও বামেরা। বিজেপি দিনটি পালন করেছে ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে। বাংলাদেশের প্রতি হুঁশিয়ারির সুর চড়া করে হিন্দু জাগরণের অস্ত্রেই শাণ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। অন্য দিকে পথে নেমে বামেদের দাবি, বাংলাদেশের পাশাপাশি এ দেশেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিকে প্রতিহত করার ডাকও দিয়েছেন বাম নেতৃত্ব।

Advertisement

তিন দশক আগে অযোধ্যায় ‘কর সেবা’ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত রাম ও শরদ কোঠারির স্মরণে ‘শৌর্য যাত্রা’র আয়োজন করেছিল ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত সেই যাত্রায় পা মিলিয়েছিলে বিরোধী দলনেতা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সুরে সেখানেই শুভেন্দু স্লোগান দিয়েছেন ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’। সেই সঙ্গেই তিনি মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের বলেছেন, “অবস্থার পরিবর্তন না-হলে স্থায়ী ভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে দেওয়া হবে।” পেট্রোপোলের পরে ১০ ডিসেম্বর বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তেও বিক্ষোভ-সভা করে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি বন্ধ করে সুর আরও চড়াতে চান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার দাবি, “আগামী বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে। ইউনূস যাবেই। বাংলাদেশে পরিবর্তন অনিবার্য।” মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন গেরুয়া বসন পরা কার্তিক মহারাজ-সহ সন্তেরা। অর্জুন সিংহ, তাপস রায়, উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তমোঘ্ন ঘোয-সহ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে হাঁটেন শুভেন্দু।

কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের ডাকে প্রতিবাদ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।

‘বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ মঞ্চের তরফে প্রাক্তন বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

Advertisement

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ বন্ধের দাবিতে সারা রাজ্যে এ দিন মিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিএম। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন বন্ধ হোক এ দেশেও। কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের ডাকে ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার প্রমুখ। বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, দু’দেশেই পরিস্থিতির জন্য দায়ী দুই ধর্মের মৌলবাদী ও সাম্প্রদয়িক শক্তি। ক্ষমতার রাজনীতির স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করছে তারা। মেহনতির জোট শক্তিশালী করেই এই আক্রমণ রুখতে হবে।

‘শোর্য দিবস’ পালনের মিছিলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যেরা। —নিজস্ব চিত্র।

পাশাপাশি দু’দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এ দিন মল্লিকবাজার থেকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই-কমিশন পর্যন্ত মিছিল করে দাবিপত্র দিয়েছে। বাবরি ধ্বংসের দিনটিকে স্মরণ করে এবং বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ করে রাজ্য জুড়ে মিছিল ও প্রতিবাদ-সভা করেছে এসইউসি। দলের কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে ধর্মতলা থেকে রাজাবাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ও পরে সভাও হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement