—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যে শীত আসার পথে কি কাঁটা বিছিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান? আবহাওয়া দফতরের তরফে তেমনই ইঙ্গিত মিলল। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশ। বুধবার বহু দিন পর কলকাতায় স্বাভাবিকের ঘরেই ছিল তাপমাত্রা— ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিন গোটা রাজ্যেই রাতের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। তার পরের দু’দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকতে পারে। অর্থাৎ, এই পূর্বাভাস থেকে স্পষ্ট যে, আগামী পাঁচ দিন শীতের কনকনানি অধরাই থাকছে। এর কারণ হিসাবে আবহবিদদের একাংশ পশ্চিমী ঝঞ্ঝাকেই দায়ী করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, জম্মু এবং জম্মু লাগোয়া পাকিস্তানে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয় রয়েছে। ফলে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে। আর এই দুয়ের জেরে রাজ্যে ঢোকার পথে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। অন্য দিকে, পুবালি হাওয়া প্রবেশের ফলে বাতাসে বাড়ছে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ।
মূলত এই কারণেই শীতপ্রত্যাশীরা সে ভাবে শীতের দেখা পাচ্ছেন না বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। কবে শীত স্বমহিমায় ফিরবে, তা নিয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। তবে তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিন মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। আগামী দু’দিন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির একাংশে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিংয়ের কোথাও কোথাও বৃষ্টি এবং তুষারপাত হতে পারে।