খান বাড়িতে উৎসবের মরসুম। আমির-কন্যার বিয়ে যে! গত নভেম্বরেই সারা হয়ে গিয়েছিল বাগ্দান পর্ব। এ বার চার হাত এক হওয়ার পালা।
আমির খানের বাড়ি সেজে উঠেছে আলোয়। বহু দিন পর খানেদের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান। ৩ জানুয়ারি আমির-কন্যা ইরা খানের বিয়ে।
মঙ্গলবার ছিল গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। রাতে ছিল প্রাক্-বিবাহের আচার। ইরার মা রিনা দত্ত-সহ আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাওকে দেখা গিয়েছে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে।
দু’জনের পোশাকেও ছিল রংমিলান্তি। শাড়ির রং ছিল আলাদা। কিন্তু সাজপোশাকে ছিল মিল। ইরার পরনে ছিল সাদা-কালো রঙের একটি শার্ট, সঙ্গে মিনি স্কার্ট। মুখে মেক আপের লেশমাত্র ছিল না।
আমির পরেছিলেন একটি কালো রঙের টি-শার্ট। গত বছর নভেম্বর মাসে জাঁকজমক করে দীর্ঘ দিনের প্রেমিক নূপুর শিখরের সঙ্গে বাগ্দান সারেন ইরা।
কেতাদুরস্ত আমির খান সে দিন কাঁচা-পাকা চুল, সাদা ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি এবং সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে দিলখোলা মেজাজে ধরা দিয়েছিলেন। জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আনন্দ-উৎসবে হলঘরে বেজেছিল ‘পাপা কহতে হ্যায় বড়া নাম করেগা’।
আমির-কন্যাকে দেখা গিয়েছিল লাল গাউনে। পাত্র নূপুর পরেছিলেন কালো স্যুট। বাগ্দান পর্বে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে হাজির ছিলেন আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও।
এ বার বিয়ের পালা। তবে ইরা-নূপুরের বিয়েতে আসতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে অতিথিদের।
এমনিতেই বলিউড তারকা-সন্তানের বিয়ে মানে বিপুল আয়োজন, কোটি কোটি টাকা খরচ, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং— এমনটাই চল রয়েছে। তবে আমির যে ভাবে সহজ-সরল যাপনে অভ্যস্ত, নিজের সন্তানদের তেমন শিক্ষাই দিয়েছেন।
একেবারে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে বিয়ে সারবেন ইরা-নূপুর। পাত্র মরাঠি। সে মতোই বিয়ের নিয়মকানুন মানা হচ্ছে।
তবে বিদেশে নয়, মুম্বইয়েই হচ্ছে বিয়ে। এমনিতেই বলি তারকা-সন্তানের বিয়েতে নানা ধরনের বিধিনিষেধ থাকে। ছবি তোলা থেকে সাজপোশাক প্রকাশ্যে যাতে না আসে, তার জন্য কড়াকড়ি থাকে।
ইরা-নূপুরের বিয়েতে রয়েছে একটি মাত্র নিয়মের কড়াকড়ি। বিয়েতে অতিথিদের উপহার আনা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন কনে।
সেই জায়গায় তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্য সাধ্যমতো কিছু সাহায্য চেয়েছেন। তাঁর এই সংস্থা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। নিজেদের জন্য শুধুমাত্র আশীর্বাদ চেয়েছেন তাঁরা।