—ফাইল চিত্র।
এ বার কি বিধায়ক পদও ছাড়বেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও সে প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করলেন না তিনি। মঙ্গলবার দলের রাজ্য দফতরে এই প্রশ্নের জবাবে শোভন বলেন, ‘‘আমি সবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। সেই দলের চিন্তাভাবনা আছে। দলে আলোচনা করে পরে এ বিষয়ে জানাব।’’
শোভনের আগে অন্য দল থেকে যোগ দেওয়া সাত জন বিধায়ককে এখনও ওই পদে ইস্তফা দিতে বলেনি বিজেপি। তৃণমূল যেমন অন্য দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে তাঁদের সে ভাবেই রেখে দিয়েছে, বিজেপিও তেমনই সেই পথেরই পথিক হয়েছে। যদিও তৃণমূলের ক্ষেত্রে তারা ‘নীতিগত’ প্রশ্ন তোলে— দলবদলু বিধায়কদের উপরে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রযুক্ত হবে না কেন এবং কেন তাঁরা ফের ভোটে লড়ে জনতার রায় নেবেন না?
আগামী ২৬ অগস্ট বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হবে। তার প্রস্তুতি নিতে এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার দলের প্রতীকে জয়ী এবং অন্য দল থেকে আসা বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বিজেপির প্রতীকে জয়ী ভাটপাড়া এবং দার্জিলিঙের বিধায়ক পবন সিংহ এবং নীরজ জিম্বা এ দিনের বৈঠকে আসতে পারেননি।
দলীয় সূত্রের খবর, উপস্থিত ১২ জন বিধায়ককে বলা হয়, তাঁদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে হবে এবং বিলগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। বিধানসভার গত বর্ধিত বাজেট অধিবেশনে দলবদলু বিধায়করা যাননি।